বঙ্গবন্ধু হত্যার মদদদাতাদের চিহ্নিত করতে কমিশন শিগগিরই
২৭ আগস্ট ২০১৯ ১৬:০০
ঢাকা: বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত ও বিচার করতে কমিশন গঠন এবং এর কর্মপদ্ধতি নিয়ে শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘শোকের মাস, ষড়যন্ত্রের মাস আগস্ট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার করতে কমিশন গঠনের দাবি উঠেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই কমিশন গঠনের দাবি উঠানো সম্ভব হয়েছে। এখন হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যাওয়ার সময় এসেছে। নেপথ্যে যারা ছিল তাদেরকে চিহ্নিত করার সুযোগ পেয়েছি। আমরা সেই সুযোগ কী ছেড়ে দিব? সুযোগ ছাড়ব না। আমরা কমিশন গঠন করবোই। অনেকে আছেন এই কমিশনে অন্যান্য হত্যাকাণ্ড সম্পৃক্ত করার কথা বলছেন। তবে আমি মনে করি এই কমিশনটা শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কারা ছিল তাদের খুঁজে বের করার জন্যই করা উচিত।’
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যায় খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমান যে জড়িত ছিল হত্যাকাণ্ডের বিচারের সময় সে বিষয়ে আমাদের কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ এসেছে। কিন্তু তারা মারা যাওয়ায় এবং আইনের সুযোগ না থাকায় ওই দুজনকে আসামির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।’
কমিশন নিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এই কমিশনের কাজের পরিধি ঠিক করিনি। নিয়ম মাফিক কমিশন গঠন করে এর হাতে কিছু ক্ষমতা দিতে হবে। ক্ষমতা দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিপরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হবে যে, এই কমিশনের প্রধান কে থাকবেন, কমিশনের কাজ কী হবে এবং এই কমিশনকে কতদিন সময় দেওয়া হবে। আমি সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই ব্যাপারে আলোচনা করব। তারপর এই কমিশন সম্পর্কে বিস্তারিত জানাব।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, ‘জাতির পিতা হত্যার দায় থেকে আমরা মুক্তি পেতে চাই। আমরা অর্ধেক দায় মুক্তি পেয়েছি। যারা হত্যায় সরাসরি অংশ নিয়েছে সেই কাপুরুষদের পাশাপাশি যারা ষড়যন্ত্র করেছে তাদেরও বিচার চাই। কলঙ্কিত অধ্যায় থেকে মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষার প্রহর গুণছি। কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধুর হত্যার মাস্টারমাইন্ডদের বিচার করা হোক। ’
অলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধুর হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার করতে হবে৷বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়া যে জড়িত তা আজ প্রমাণিত। ‘
এছাড়া রোহিরোহিঙ্গাদের উস্কে দিতে জামাত কাজ করছে। এমনকি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সম্প্রতি যে সমাবেশ হয়েছে তাতে জামাতের ইন্ধন রয়েছে বলেও দাবি করেন বক্তারা।
সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর আহ্বায়ক পীযূষ বন্দোপদ্যায়ের সভাপতিত্বে সংগঠনের এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মামুন আল মাহতাবের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তৃতা করেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান, আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকসহ প্রমুখ।