বঙ্গবন্ধুর জীবনী সব সময়ই অসমাপ্ত: ঢাবি উপাচার্য
২৭ আগস্ট ২০১৯ ১৮:১৩
ঢাবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনী সব সময়ই অসমাপ্ত। তাঁর পরিধি-পরিসীমা এতই ব্যাপক যে, সব সময়ই তা আলোচিত হতে থাকবে। এর কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। তাঁর জীবনী এতই বিস্তৃত যে, আমরা কখনই এর সীমা নির্ধারণ করতে পারি না।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এ সব কথা বলেন তিনি। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আলোচনা এ সভার আয়োজন করে।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জীবনী এক বক্তব্যে শেষ করা সম্ভব নয়। মাসের পর মাস বিভিন্ন দিক থেকে এটি উপস্থাপনের দাবি রাখে। এবং সেকারণেই বঙ্গবন্ধু যে তাঁর ডায়েরিটি লিখলেন, তার নাম হয়ে গেলো ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’। এমন মহান পুরুষের লেখা কখনও সমাপ্ত হতে পারে না। সেটি সব সময় অসমাপ্তই থাকে। এর মানে তাঁর কাজ, দর্শন ও জীবনালেখ্য এতই ব্যাপক ও বিস্তৃত যে, তা কখনও সীমা দিয়ে নির্দিষ্ট করা যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যক্তি মুজিব আজ আমাদের মাঝে অনুপস্থিত। কিন্তু মুজিব চেতনা, মুজিব দর্শন, মুজিবের আদর্শ, মুজিবনীতি, মুজিববাদ আমাদের মধ্যে জাগ্রত। আমরা খুব গভীরভাবে অনুভব করি, শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি এবং সবকিছু নিয়ে তাঁকে আমরা আলোচনায় ধারণ করি। এটি হলো চিরঞ্জীব ও জীবিত থাকার একটি অসাধারণ দৃষ্টান্ত।’
১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে শহীদ হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ‘পাকিস্তানি ও তাদের দোসররা ৭১-এর পরাজয়কে মেনে নিতে পারেনি। মেনে নিতে পারেনি বলে তারা প্রতিশোধ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। এবং তারা এর বাস্তবায়ন ঘটায় ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট।’
আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কথা অনেকেই বলে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে তাঁর যে চেতনা, রাজনৈতিক দর্শন, মানুষের প্রতি যে মমত্ববোধ এবং জনগণের প্রতি যে দায়বদ্ধতা ছিল সেগুলো বর্তমানের রাজনীতিবিদরা কতটুকু ধারণ করতে পারছেন, সেটা বাস্তবের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা দরকার। অনেকেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তিন ঘণ্টা বক্তৃতা করতে পারবেন, পাঁচ ঘণ্টা ইতিহাস লিখতে পারবেন। কিন্তু কতটুকু ধারণ করতে পারবেন- সেটাই বড় কথা।’
এ সময় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে শুধু লেকচার কিংবা বইয়ের পাতা বা পত্রিকার কলামে সীমাবদ্ধ না থেকে তাঁর আদর্শকে ধারণ করতে সব দলমতের রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানান নুর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামানের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন প্রমুখ।