Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রধানমন্ত্রীর সফরে ইতালির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার হবে


৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৪:২৩

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১২ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি ইতালি এবং একই সঙ্গে পোপ ফ্রান্সিস-এর আমন্ত্রণে ভ্যাটিকানে সরকারি সফর করবেন।

সফরে বিনিয়োগ এবং অংশীদারিত্বমূলক সহযোগিতার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে।

সফরে অংশগ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গী দল আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং সফর শেষে ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বৃস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের এই তথ্য জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ‘কৃষি সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ) এর ৪০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট জিলবার্ট এফ হনবোর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৩ ফেব্রুয়ারি ৪১তম ইফাদের গভর্নিং কাউন্সিল সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। অন্যদিকে, ভ্যাটিকান সফরকালে প্রধানমন্ত্রী পোপ ফ্রান্সিস এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।’

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ‘ইফাদের সভায় প্রধানমন্ত্রী তার মূল প্রবন্ধে কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন ও সাফল্যের কথা তুলে ধরবেন। গ্রামীণ যুবশক্তির উন্নয়নে সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপ, দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে বিনিয়োগের গুরুত্ব এবং পল্লী জনগণের ক্ষমতায়নে স্থানীয় সরকারের ভূমিকার বিষয়েও প্রধানমন্ত্রী আলোকপাত করবেন। জাতীয় পঞ্চ-বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় কৃষিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি এ সংশ্লিষ্ট টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নে আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টার বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রতিফলিত হবে।’

বিজ্ঞাপন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিগত প্রায় ৩০ বছর ইফাদ বাংলাদেশের পল্লী জনগণের ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা উন্নয়নে সরকারের সাথে অংশীদারিত্বমূলক সহযোগিতার ভিত্তিতে নানামুখী প্রকল্প ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। প্রতিষ্ঠার পর ইফাদের সর্বপ্রথম প্রকল্পটি ছিল বাংলাদেশে, যা ১৯৭৮ সালে নেয়া হয়। সংস্থাটি এ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচীতে প্রায় ৭৮২ মিলিয়ন ডলারের অনুদান এবং স্বল্পসুদ ও সহজশর্তে ঋণ দিয়েছে। এর ফলে ৪ কোটিরও অধিক জনগোষ্ঠী উপকৃত হয়েছে। আসন্ন ইফাদের গভর্নিং কাউন্সিল সভায় প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ এবং মূল বক্তব্য উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে সংস্থাটির সাথে বাংলাদেশের অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক আরও জোরদার ও মজবুত হবে।

সারাবাংলা/জেআইএল/এমআই

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর