Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এসকে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ২ অক্টোবর


২৮ আগস্ট ২০১৯ ১৬:৫৮

ঢাকা: ক্ষমতার অপব্যবহার করে ফারমার্স ব্যাংকের চার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ (এসকে সিনহা) ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামী ২ অক্টোবর ঠিক করেছেন আদালত।

বুধবার (২৮ আগস্ট) ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের ওপর তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ নির্ধারণ ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তা জমা দিতে পারেননি। এজন্য ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ ঠিক করে দেন।

বিজ্ঞাপন

গত ১০ জুলাই দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে কমিশনের জেলা সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১-এ এই মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন— ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে অস্বাভাবিক দ্রুততার সঙ্গে চার কোটি টাকা ভুয়া ঋণ তৈরি করে তা একই দিনে পে-অর্ডারের মাধ্যমে আসামি এসকে সিনহার ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর করেন।

বিজ্ঞাপন

পরে এসকে সিনহা নগদ, চেক ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা সরিয়ে নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, যা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এর আগে, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার ব্যাংক হিসাবে চার কোটি টাকা লেনদনের ঘটনায় জালিয়াতির প্রমাণের কথা জানিয়েছিলেন দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। এ বিষয়ে ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি কে এম শামীমসহ ছয় কর্মকর্তা এবং মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা এসকে সিনহার ব্যাংক হিসাবে চার কোটি টাকা স্থানান্তরের বিষয়টি স্বীকার করেন।

অর্থ আত্মসাৎ এসকে সিনহা মানি লন্ডারিং সুরেন্দ্র কুমার সিনহা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর