৫ সপ্তাহ পার্লামেন্ট স্থগিত: যুক্তরাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ
২৯ আগস্ট ২০১৯ ১১:০৮
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পরিকল্পনানুসারে পার্লামেন্ট স্থগিত রাখার প্রস্তাব বুধবার (২৮ আগস্ট) রানি অনুমোদন করার পর যুক্তরাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সংসদের ব্রেক্সিট বিরোধি সদস্য এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সুস্পষ্ট প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এই স্থগিতাদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একটি পিটিশনে লক্ষাধিকেরও বেশি নাগরিক স্বাক্ষর করেছেন। খবর বিবিসির।
এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে পাঁচ সপ্তাহের জন্য পার্লামেন্ট স্ত্রহগিত থাকলেও ব্রেক্সিট বিতর্কের জন্য প্রয়োজনীয় সময় পাবেন সংসদ সদস্যরা।
কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, ব্রেক্সিট বিরোধিদের কথা বলার রাস্তা বন্ধ করা জন্য পার্লামেন্টের স্থগিতাদেশ একটি অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ।
কেবিনেটমন্ত্রী মাইকেল গভ বিবিসিকে জানিয়েছেন, এটা অবশ্যই কোন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়। আমরা সর্বাগ্রে ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এই স্থগিতাদেশ। ৩১ অক্টোবরের আগে এর পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা করার জন্য প্রচুর সময় পাওয়া যাবে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, পার্লামেন্টে রানির ভাষণ স্থগিতাদেশ শেষ হওয়ার পর অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও বলেন আমাদের দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা নিশ্চয়ই ব্রেক্সিট পর্যন্ত অপেক্ষা করে বসে থাকবো না।
যুক্তরাজ্যের সংসদনেতা জ্যাকব রিজ মগ জানান, ৪০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ সংসদ অধিবেশন। সুতরাং এই স্থগিতাদেশ যৌক্তিক। বিরতির পর আমরা নতুন অধিবেশন শুরু করব।
লেবার পার্টির নেতা জেরমি করবিন দ্য টেলিগ্রাফকে বলেছেন, এই স্থগিতাদেশের ফলে আমাদের গণতন্ত্র নিঃসন্দেহে হুমকির মুখে পড়লো।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই বের হয়ে যেতে চান। একটি চুক্তির মাধ্যমে এটি হলে ভালো হয়, তবে চুক্তি না হলেও কোন সমস্যা নেই।
পার্লামেন্টের স্থগিতাদেশের ব্যাপারে বিচারবিভাগীয় পর্যালোচনা চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন ব্রেক্সিট বিরোধি সদস্য জিনা মিলার।
বুধবার ( ২৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ওয়েস্টমিনিস্টার হলের চত্ত্বরে আন্দোলনকারীরা জড়ো হতে থাকেন। তারা এই স্থগিতাদেশ বন্ধের জন্য স্লোগান দেন এবং ব্রেক্সিট বিরোধি প্ল্যাকার্ড এবং ইউরোপিয় ইউনিয়নের পতাকা বহন করেন। তবে সম্পূর্ণ বিক্ষোভ প্রাণবন্ত এবং শান্তিপূর্ণ ছিল বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে।
ইউরোপিয় ইউনিয়ন ওয়েস্টমিনিস্টার পার্লামেন্ট ব্রেক্সিট যুক্তরাজ্য রানি