ডিআইজি মিজানের দুর্নীতি মামলার প্রতিবেদন ২ অক্টোবর
২৯ আগস্ট ২০১৯ ১৬:৫১
ঢাকা: দুর্নীতির মামলায় সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ চার জনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও গোপন এবং মানিলন্ডারিং আইনের মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২ অক্টোবর দিন ঠিক করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ ঠিক করে দেন।
এর আগে, গত ২ জুন দুর্নীতির মামলায় সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমান মিজানকে হেফাজতে নেয় শাহবাগ থানার পুলিশ।
২০১৮ সালের জুনয়ারিতে এক নারী ব্যাংক কর্মকর্তাকে জোর করে বিয়ে এবং সম্পর্ক গোপন রাখার অভিযোগে পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়। পরে মিজানের শত কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ আসে। সেই অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের অংশ হিসেবে ওই বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি সংস্থার পরিচালক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় দুদক।
এদিকে, ডিআইজি মিজান অভিযোগ করেন, দুদক পরিচালক এনামুল বাছির তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এ সম্পর্কিত একটি অডিও ক্লিপ বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে সরবরাহও করেন মিজান। এরপর দুদক তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে। সেই কমিটির তদন্তের ভিত্তিতে এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করে দুদক। পরিচালক মঞ্জুর মোরশেদকে নতুন অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এদিকে, তিন কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও তিন কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ তার স্ত্রী, ভাই ও ভাগ্নের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অবৈধ সম্পদ অর্জন এনামুল বাছির ডিআইজি মিজান তদন্ত প্রতিবেদন দুদক মানিলন্ডারিং