‘জাতির সূর্যসন্তান মতিউর ছিলেন বঙ্গবন্ধুর প্রেরণায় উজ্জীবিত’
২৯ আগস্ট ২০১৯ ১৯:২৭
ঢাকা: সূর্যসন্তান বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়েই দেশপ্রেমের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ দেখিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক।
তিনি বলেন, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের সবচেয়ে বড় পরিচয়, তিনি দেশপ্রেমিক। এ কারণেই তিনি এতটা সাহসী হয়ে উঠতে পেরেছিলেন, দেশের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করতে পেরেছিলেন। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর প্রেরণায় উজ্জীবিত। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, আমাদের সবাইকেই মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন এই মহান নেতা।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট মতিউর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণসভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠরা যেভাবে নিজেদের জীবনের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছেন, তা পৃথিবীর ইতিহাসে অতুলনীয়। তাদের সম্মানে ঐক্যবদ্ধ হয়েই আমাদের বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হবে।
মহান মুক্তিযুদ্ধে দুর্ধর্ষ ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য হিসেবে অংশ নিয়েছেন গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে নিজের জীবনের বিনিময়ে নায়ক হয়েছেন মতিউর। আমার নির্বাচনি এলাকার প্রতিটি স্কুলে তার ছবি টাঙানো আছে। প্রতিটি শিশু, প্রতিটি শিক্ষার্থী দেশের প্রয়োজনে তার মতো হওয়ার স্বপ্ন দেখে। তার আত্মত্যাগের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।
জাতির পিতার উদাহরণ টেনে বীরপ্রতীক গোলাম দস্তগীর বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ছিলেন গণমানুষের নেতা। সাধারণ মানুষ তাকে ভালোবাসত, তিনিও ভালোবাসতেন তাদের। পরাধীন দেশে বসে স্বাধীন দেশের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু, সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে আমরা যুদ্ধ করেছি। মতিউর জীবন দিয়েছে। এখন আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে গড়তে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এখনো যারা পাকিস্তান পাকিস্তান করেন, তারা কি জানেন পাকিস্তান আজ কোথায়? পাকিস্তান আজ বাংলাদেশের নিচে অবস্থান করছে। ২০০৮ সালের আগে বাংলাদেশে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং ছিল। এখন বাংলাদেশে লোডশেডিং নেই, কিন্তু পাকিস্তানে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়। আমাদের পাটের টাকা শোষণ করে পাকিস্তান তৈরি হয়েছে, কিন্তু ওরা আমাদের সবকিছু থেকে বঞ্চিত করেছে। আজ আমাদের দেশে কোনো অসমতা নেই। আমাদের সন্তানেরা ভালো ভালো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছে। সারা পৃথিবীতে আমরা একটি সম্মানজনক অবস্থানে পৌঁছে গেছি। এই অর্জন আমাদের ধরে রাখতে হবে।
জাতি হিসেবে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে ২০৪১ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না, ২০৩১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছে যাবে বলেও মন্তব্য করেন গোলাম দস্তগীর গাজী।
স্মরণসভায় আরও বক্তব্য রাখেন বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের ভাই আব্দুর রহমান সামাদ, বোন জাহানারা ইসলাম, ড. মনিরুজ্জামান ও বাংলাদেশ রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়।
গোলাম দস্তগীর গাজী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান