ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় ওসির নাম আসায় অধিকতর তদন্তের নির্দেশ
৩০ আগস্ট ২০১৯ ০৪:৪৮
ঢাকা: ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি কামরুল ইসলামের নাম আসার পরেও অভিযোগে (চার্জশিটে) তাকে অন্তর্ভুক্ত না করায় মামলাটির অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই মাসের মধ্যে ওই তদন্ত সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফরহাদ আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারোয়ার হোসেন বাপ্পী।
শুনানিতে আদালত বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামির জবানবন্দিতে নাম আসার পরেও ওসিকে অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আমরা মনে করি, এই অভিযোগপত্র ডিফেকটিভ (ত্রুটিযুক্ত)। এ কারণে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হলো।’
২০১৮ সালের ৭ মার্চ নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার রুপালি আবাসিক এলাকা থেকে সদর মডেল থানার এএসআই আলম সরোয়ার্দি ও মাদকবহনকারী সাবিনা আক্তার রুনুকে ইয়াবা ও টাকাসহ গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মো. মাসুদ রানা। সরোয়ার্দির বাসা থেকে মাদক উদ্ধারের পরদিনই বন্দর থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
ওই মামলার দুই আসামি এএসআই আলম সরোয়ার্দি ও কনস্টেবল মো. আসাদুজ্জামান তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি কামরুল ইসলামের নাম তুলে ধরেন। কিন্তু দুই আসামির জবানবন্দিতে ওসির নাম আসার পরেও তাকে বাদ দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) নাজিমউদ্দিন আল আজাদ। এই মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন কনস্টেবল আসাদুজ্জামান।
আবেদনটির শুনানি নিয়ে আসাদুজ্জামানকে কেন জামিন দেওয়া হবেনা, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। ওই রুলের শুনানিকালে মামলা থেকে ওসিকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আসে। এরপরই তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন আদালত। পাশাপাশি দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নাম আসার পরেও অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত না করার বিষয়ে দুই সিনিয়র আইনজীবীর বক্তব্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।