Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এনআরসিতে নেই সাবেক রাষ্ট্রপতি, বিধায়ক ও সেনা কর্মকর্তার নাম!


১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৮:৫৪

বিজেপি সরকারের তৈরি করা আসামের এনআরসি থেকে বাদ পড়েছেন বিরোধী দলের বিধায়ক, কারগিল যুদ্ধে অংশ নেওয়া সাবেক সেনা কর্মকর্তা, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও ডেপুটি স্পিকারের স্বজনরা। এসব ঘটনায় এনআরসি নিয়ে সন্দেহ বাড়ছে, যোগ হয়েছে সমালোচনার নতুন মাত্রা।

‘রাষ্ট্রহীন’ সাবেক রাষ্ট্রপতির পরিবার

ফখরুদ্দিন আলি আহমেদ ছিলেন ভারতের পঞ্চম রাষ্ট্রপতি। তিনি ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। আসামের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা প্রকাশের পর খুঁজে পাওয়া যায়নি তার ও তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যের নাম।

২০১৮ সালে এনআরসির দ্বিতীয় খসড়া তালিকায়ও এই সাবেক রাষ্ট্রপতির নাম ছিল না, হয়েছিল বিতর্ক। তাদেরকে নাগরিকত্ব প্রমাণের উপযুক্ত প্রমাণ হাজির করতে বলা হয়েছিল। নথি জমা দেওয়া ত্রুটি ছিল না দাবি করে তারা জানান, চূড়ান্ত নাগরিক তালিকায় নেই তাদের নাম। এর ফলে শনিবার থেকে তারা রাষ্ট্রহীন। ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে গিয়ে এবার তাদের প্রমাণ করতে হবে তারা ভারতীয়।

ভুক্তভোগী বিধায়ক (এমএলএ) অনন্ত কুমার মালো

এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা থেকে আরও বাদ পড়েছেন বিরোধী দলের বিধায়ক (এমএলএ) অনন্ত কুমার মালো। তিনি বদরুদ্দিন আজমলের অল ইন্ডিয়া ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (এআইইউডিএফ)-এর প্রভাবশালী নেতা। এসব ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আসাম মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এনআরসি ত্রুটিপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এনআরসি নিয়ে ভাল কিছু আশা করা যাচ্ছে না। প্রকৃত নাগরিকরাই বাদ পড়েছেন।

প্রথম ডেপুটি স্পিকারের স্বজনেরা নেই তালিকায়

পরাধীন ভারতে আসামের বিধানসভার প্রথম ডেপুটি স্পিকার মৌলভী মুহম্মদ আমিরুদ্দিন। তিনি ও তার পরিবারের ৭০ জনের নাম বাদ পড়েছে এনআরসির তালিকা থেকে। বলা হয়, দেশভাগের সময় আসামের একটা বড় অংশকে সাবেক পূর্ব পাকিস্তান বর্তমান বাংলাদেশের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছিল। তখন গোপীনাথ বরদলুইয়ের সঙ্গে মিলে মৌলভী আমিরুদ্দিন তা হতে দেননি। এবার এনআরসির তালিকা থেকে বাদ হওয়া তার স্বজনেরা মেনে নিতে পারছেন না।

কারগিল যুদ্ধের সৈনিক ছানাউল্লাহও ভারতীয় নন!

১৯৯৯ সালে ভারত-পাকিস্তানের কারগিল যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হয়ে যুদ্ধ করেছিলেন মোহাম্মদ ছানা উল্লাহ। ১৯৮৭ থেকে ২০১৭ সাল ৩০ বছর চাকরি করেছেন সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদে। অবসর নিয়েছেন একজন ক্যাপ্টেন হিসেবে। কিন্তু এনআরসি তালিকায় নেই তার নামও। ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালেও তার ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়া যায়নি। ছানা উল্লাহ এখন হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছে। এই সেনা কর্মকর্তার কপালে কি আছে তা এখনি বলা যাচ্ছে না।

আসামে এনআরসি এনআরসি নাগরিকত্ব


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর