জাল সনদেই হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক থেকে উপাধ্যক্ষ
১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২২:৪০
নোয়াখালী: জাল সনদ ব্যবহার করে হাতিয়া ডিগ্রি কলেজে চাকরি নেওয়ার অপরাধে শাহিদা আক্তার রুবি নামে এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) নোয়াখালী সুপার মার্কেটের সামনে থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) টিম তাকে গ্রেফতার করে। রুবির বাড়ি হাতিয়া উপজেলার চর কৈলাস গ্রামে। তার স্বামীর নাম কে এম ওবায়েদুল্যাহ বিপ্লব।
সূত্র জানায়, শাহিদা আক্তার রুবি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ২০১০ সালের পরীক্ষার সনদ ব্যবহার করে চাকরি নিয়েছিলেন। তার রোল নম্বর ছিল ৪০৬০২৭৯৪, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিল ১০০০০১২৬২। পরবর্তীতে কলেজ এমপিওভুক্ত হলে তার ইনডেক্স নম্বর হয় ৩০৮৪৪২১। ২০১২ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত রুবি ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৯৭৫ টাকা বেতন তোলেন। ২০১৫ সালের ৩ ডিসেম্বর রুবির জালিয়াতির বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের শিক্ষা পরিদর্শক টুটুল কুমার নাগ এবং অডিট অফিসার গোলাম মূর্তজার নজরে আসে।
এ প্রসঙ্গে নোয়াখালী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ জানান, শাহিদা আক্তার রুবি দীর্ঘদিন ধরে হাতিয়া ডিগ্রি কলেজে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে প্রভাষকা পদে শিক্ষকতা করে আসছেন। আমরা অনুসন্ধান করে নিশ্চিত হয়েছি, তিনি জাল সনদ ব্যবহার করে চাকরি নিয়েছিলেন। গত ২৯ আগস্ট তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ সামিউল হক সাজু জানান, শাহিদা আক্তার রুবি ২০১২ সালে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে প্রভাষক পদে যোগ দেন। ২০১৫ সালে তিনি কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেন। তবে সনদ জাল করার অভিযোগ ওঠায় গত দুই বছর থেকে তার বেতন বন্ধ রয়েছে।