সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাফাতের স্ত্রী, নারাজি বিষয়ে শুনানি পেছাল
১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২২:০০
ঢাকা: আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের বিরুদ্ধে গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টাসহ মারধরের অভিযোগে তার ছেলে সাফাত আহমেদের স্ত্রী ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার দাখিল করা নারাজি বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়েছে। পিয়াসা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়ায় শুনানির আগামী ৩০ অক্টোবর দিন ঠিক করেছেন আদালত।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন।
গত ১৭ জুলাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. মজিবুর রহমান। দিলদার আহমেদ সেলিম এবং আপন রিয়েল এস্টেটের পরামর্শক ও তত্ত্বাবধায়ক মো. মোখলেসুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে তিনি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন।
সেই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধেই গত ২৫ আগস্ট পিয়াসা নারাজি আবেদন দাখিল করেছিলেন। সেই বিষয়ে রোববার শুনানি দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ফারিয়া মাহবুব সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন উল্লেখ করে তার আইনজীবীরা আদালতের কাছে সময় আবেদন করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সানাউল হক টিপু সারাবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত ১১ মার্চ দিলদার আহমেদের ছেলে ও বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের স্ত্রী ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসা আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। এতে দিলদারের সঙ্গে আপন রিয়েল এস্টেটের পরামশর্ক ও তত্ত্বাবধায়ক মো. মোখলেসুর রহমানকেও আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মামলার বাদীর সঙ্গে সাফাতের ২০১৫ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়িতেই থাকেন তিনি। সেখানে শ্বশুর দিলদার আহমেদ তার ওপর নির্যাতন করে আসছেন। স্বামীর অনেক অনৈতিক কাজে পিয়াসা বাধা দিলেও শ্বশুর উল্টো সাফাতকে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করতেন। অন্তঃসত্ত্বা পিয়াসা গত ৫ মার্চ রাত ৮টার দিকে ওষুধ ও স্বামীর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য কাছাকাছি মার্কেটে যান। বাসায় ফেরার পর দিলদার আহমেদ ও মোখলেছুর রহমান তার মাথায় পিস্তল ঠেকান, চর-থাপ্পড় মারেন ও গর্ভপাত করানোর উদ্দেশে তলপেটে লাথি মরার চেষ্টা করেন এবং স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা রেখে এক কাপড়ে বাসা থেকে বের করে দেন।
আপন জুয়েলার্স আপন জুয়েলার্সের মালিক গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টা দিলদার আহমেদ দিলদার আহমেদের পুত্রবধূ ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা সাফাতের স্ত্রী