ঢাকা: বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর স্ট্যাটাস ও ছবি পোস্ট করার অভিযোগে ৫ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচার আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে পঙ্কজ দেবনাথ মামলাটি দায়ের করেন।
এদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের শেষে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন— লাল ভাই, মিনা ফারাহ, আলম শুভ, শিপন মাহমুদ পরদেশী ও রাজন রহমান রুমি। এসব আইডির নাম, ঠিকানা অজ্ঞাত বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাদী আদালতে জবানবন্দিতে বলেন, ২৬ আগস্টের আগ পর্যন্ত আসামিরা আমার ছবি দিয়ে বিভিন্ন ফেক আইডি খোলেন। সেসব আইডি থেকে সামাজিকভাবে আমাকে খুব বাজেভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এতে আমি হেয় হচ্ছি। আমার দলের ইমেজ নষ্ট হচ্ছে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।
পঙ্কজ দেবনাথের পক্ষে তাপস কুমার পাল, তপো গোপাল ঘোষসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেন।
মামলার এজাহার বলা হয়, আসামিরা তাদের নাম গোপন করে এবং কখনো কখনো নাম প্রকাশ করে বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে পঙ্কজ দেবনাথের ছবি না হওয়া সত্ত্বেও মিথ্যা বর্ণনায় তার আইডি হিসেবে প্রচার করে। পঙ্কজ দেবনাথের নামে ভুয়া ছবি ও ভিডিও ইউটিউব, ফেসবুক ও অন্যান্য অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে। আপত্তিকর স্ট্যাটাসও দেওয়া হয়। এতে পঙ্কজ দেবনাথের মানহানি হয়। এ বিষয়ে পঙ্কজ দেবনাথ অবগত হওয়ার পর তার সহকারী মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলামের মাধ্যমে ধানমন্ডি থানায় গত ২৭ আগস্ট একটি জিডি করেন। তা সত্ত্বেও আসামিরা বাদীর নামে আপত্তিকর স্ট্যাটাস ও ছবি পোস্ট করে।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা প্রতারক, অন্যের চরিত্র হরণকারী, সাইবার সন্ত্রাসী, বিভিন্ন প্রকার ফেসবুক আইডি খুলে সম্মানি ব্যক্তিদের হয়রানি, মানহানি ও আপত্তিকর স্ট্যাস্টাস দিয়ে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে মারাক্ত্মক মানহানি ঘটিয়েছে। মামলাটি আমলে গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয় এজাহারে।