সংকট থাকলেও পাটের দাম পেয়ে খুশি কৃষক
২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৬:৫৭
ঠাকুরগাঁও: চলতি মৌসুমে ঠাকুরগাঁওয়ে পাটের আবাদ ভালো হয়েছে। গত বছরের তুলনায় পাটের আবাদও বেশি হয়েছে এবার। জেলার জমি তুলনামূলক উঁচু হওয়ায় পাট পঁচানোর জন্য প্রয়োজনীয় জলার সংকট রয়েছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা। তবে বাজারে পাটের দাম পাওয়ায় খুশি কৃষকেরা বলছেন, এক সময়ের প্রধান অর্থকরী ফসল ‘সোনালী আঁশ’ আবার পুরনো গৌরব ফিরে পেয়েছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলায় লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৯ শতাংশ পূরণ হয়েছে পাট আবাদে। এবার পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৯২০ হেক্টর। পাট আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমিতে। এবার কৃষকরা দেশি, তোষা, মেশতা ও উঁচু মাটিতে কেনাফ এইচ বি-৯৫ জাতের পাট আবাদ করছেন।
কৃষকরা জানান, এবার ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা মন দরে বাজরে পাট বিক্রি হচ্ছে। পাটের ভালো দাম পেয়ে পাটচাষিরা খুশি। সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের গৌরিপুর গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ আমি প্রতি মণ পাট বাজারে ১ হাজার ৮০০ টাকা দরে বিক্রি করছি। এতে প্রায় ২৪ হাজার টাকা লাভ করেছি।’ একই কথা জানান আরেক কৃষক তসলিমউদ্দিন।
তবে পাট পঁচানোর জন্য জলা সংকটের কথা জানালেন জেলার জামালপুর ইউনিয়নের ইউনিয়নের কৃষক নারায়ণ চন্দ্র। তিনি বলেন, ‘এবার পাটের ভালো দাম পেয়ে লাভবান হয়েছি, কিন্তু সংকট ছিল পাট ভেজানোর মতো ডোবা ও জলাধার। পাট পঁচাতে জাগ দিলে পানিটাও একটু দুষিত হয়, তাই মাছ চাষের জন্য ব্যবহার করা পুকুরগুলোতে পাট পঁচানো যায় না।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপ পরিচালক আফতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পাটচাষে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে। এবার পোকার আক্রমণও পাটের তেমন ক্ষতি করতে পারেনি। আশা করি এবার এ জেলায় গত বছরের চেয়ে বেশি পাট উৎপন্ন হবে। বর্তমানে পাটের দামও ভালো, আশা করি পাট চাষে কৃষক লাভবান হবে।’