Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্বামীকে গলাকেটে হত্যা মামলায় স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড


৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ২০:২৭

সারাবাংলা করেসপন্ডেন্ট

রাজধানীর পল্লবীতে সেনাসদস্য মো. মহসীনকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলার তার স্ত্রী মোছা. সালেহা খাতুন শিউলীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক আব্দুর রহমান সরদার আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সালেহা খাতুন চাঁদপুর জেলার উত্তর মতলবের আইঠাদি মাথাভাঙ্গার মৃত সিরাজুল ইসলাম মাস্টারের মেয়ে।

বিচারক রায়ে বলেন, ‘বর্তমান সমাজে পাষণ্ড স্বামী হাতে যেমন স্ত্রীহত্যার ঘটনা ঘটছে, ঠিক তেমনিভাবে, পাষণ্ড স্ত্রী হাতে স্বামীহত্যার মতো ঘটনাও অহরহ ঘটছে। দেশে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য এ ধরনের মামলার আসামির উপযুক্ত বিচার হওয়া জরুরি। ফলে এই মামলার আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান না করলে এ ধরনের নির্মম, নিষ্ঠুর ও নৃশংসভাবে হত্যার মতো ভয়ংকর অভিশাপ থেকে সমাজকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব না। আসামি যে অপরাধ করেছে তা খুবই মর্মান্তিক, বিভীষিকাময় ও নারকীয়।

তিনি আরও বলেন, আদালত এই মামলায় দণ্ডপ্রদানের ক্ষেত্রে কোনোপ্রকার অনুক্ম্পা বা দয়া দেখাতে পারে না।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, এপিপি আব্দুল কাদের পাটোয়ারী এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জনাব এ এইচ এম রাশেদ।

মামলার অভিযোগ বলা হয়েছে,  মহসীন ও তার স্ত্রী সালেহা খাতুন, দুই ছেলে প্রান্ত ও প্রিয়ন্তকে নিয়ে পল্লবীতে স্থায়িভাবে বাস করতেন। মহসীনের সঙ্গে সংসার করার মাঝেও সালেহা বিভিন্ন লোকজনের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলে। যার ফলে তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি ও মারামারি লেগেই থাকত।

২০১২ সালের ২৬ অক্টোবর, সালেহা খাতুন তার প্রেমিক শরীফ চৌধুরী আপন ও সুরুজ মিয়াসহ ৫-৭ জনের সহায়তায় মহসীনকে (অণ্ডকোষসহ পুংলিঙ্গ ও শ্বাসনালী কেটে) হত্যা করে।

এই ঘটনায় নিহতের ভাই মো. মজনু মিয়া বাদী হয়ে পল্লবী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট থানার এসআই বিপ্লব কুমার শীল পরের বছর ২১ জানুয়ারি সালেহা খাতুনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে আদালত ৭জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

আদেশে বলা হয়েছে, আসামি মোছা. সালেহা খাতুন শিউলী (পলাতক)-এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষের আনীত আপরাধ অভিযোগ সুনিদিষ্ট এবং সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দোষীসাব্যস্থ করে তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হল। সাজাপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তার গলায় ফাঁসির রশি ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হলো।

সারাবাংলা/এআই/এমআই


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর