উদ্বৃত্ত টাকা নিজের কাছে রাখতে পারবে না ৬৮ প্রতিষ্ঠান
২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৬:২২
ঢাকা: এখন থেকে স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালন ব্যয় মেটানোর পর বাড়তি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে হবে। এ সংক্রান্ত একটি আইনের খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইনটি বাস্তবায়ন করা গেলে এই মুহূর্তে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে ২ লাখ ১২ হাজার ১শ কোটি টাকা। খসড়া আইনে আপাতত ৬৮ প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ আইনের খসড়ায় অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সংবাদ সম্মেলনে জানান, ‘স্বায়ত্বশাসিত, আধা-স্বায়িত্বশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাগুলোর উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান আইন ২০১৯’ নামে এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
এই আইনের আওতায় সরকারের অধীনস্ত ৬৮ প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের পরিচালনা ব্যয়, পেনশন ব্যয় রেখে বাকি অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেবে। এরমধ্যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন, পেট্রোবাংলা, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, রাজউক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষাবোর্ড, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ ২৫ প্রতিষ্ঠান শীর্ষে রয়েছে।
এরমধ্যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের উদ্বৃত্ত অর্থের পরিমান ২১ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা, পেট্রোবাংলার রয়েছে ১৮ হাজার ২০৪ কোটি টাকা, পিডিবি’র ১৩ হাজার ৪৫৪ কোটি, চট্টগ্রাম। বন্দর কর্তৃপক্ষের ৯ হাজার ৯১৩ কোটি, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ৪ হাজার ৩০ কোটি উদ্বৃত্ত রয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের যদি অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হয় তবে সরকারের কাছ থেকে নিতে পারবে। কিন্তু উদ্বৃত্ত অর্থ নিজের কাছে রাখা যাবে না বলে পরিষ্কার করা হয়েছে আইনে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এসব প্রতিষ্ঠানের উদ্বৃত্ত অর্থ বিভিন্ন ব্যাংকে রাখা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ নিজ বাৎসরিক ব্যয় রেখে বাকি অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে আইনে। সরকার তা উন্নয়ন কাজে ব্যয় করবে।
এছাড়া, মানব, বিশেষত নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধ, দমন ও তথ্যসংক্রান্ত দণ্ডবিধান বিষয়ক জাতিসংঘের ১৭৩ টি দেশের যে জোট রয়েছে সেখানে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।