হংকংয়ে ছাত্র ধর্মঘট: প্রথম কার্যদিবসেই ক্লাস বর্জন
২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৭:১৫
হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থি সরকারবিরোধী আন্দলনের অংশ হিসেবে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সেকেন্ডারি স্কুল এবং ইউনিভার্সিটির হাজারো শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জন করে সরকারি দমন পীড়নের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে স্লোগান দিয়েছে। খবর বিবিসির।
আন্দোলনের সংগঠকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্কুল কলেজের নতুন শিক্ষাবর্ষের প্রথমদিনে ২০০ উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের ১০ হাজার শিক্ষার্থী দুইদিনের সর্বাত্মক ধর্মঘটকে সমর্থন করে বিশাল এক পদযাত্রায় অংশ নেন।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনে পৌছে ট্রেন চলাচলে বাঁধা দেয় এবং তার ফলে নিয়মিত কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। পরে সেকেন্ডারি স্কুলের ছাত্ররা সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টের এডিনবার্গ প্যালেসের সামনে জড়ো হয়ে সমাবেশ করে। স্কুলের শিক্ষার্থীদের বরাতে সাউথ চায়না মর্ণিং পোস্ট জানিয়েছে, তারা ধর্মঘটের সমর্থনে ক্লাস করবে না, তার পরিপ্রেক্ষিতে যে ধরনের শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগই উঠুক না কেন, মোকাবিলা করার জন্য তারা প্রস্তুত আছেন।
পুলিশের আক্রমণে চোখে আঘাত পাওয়া এক আন্দোলনকারীর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে চোখে কালো পট্টি পড়ে আন্দোলনে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ছবি থেকে দেখা যায় অনেক সেকেন্ডারি স্কুলের সামনে শিক্ষার্থীরা মানব বন্ধন করেছেন।
স্থানীয় রাজনৈতিক দল ডেমোসিস্টো এবং ছাত্রদের কয়েকটি গ্রুপ এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
এর আগে, এই সপ্তাহান্তের আন্দোলনে শনিবার (৩১ আগস্ট) পুলিশ এবং আন্দলনকারীদের এক ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছোঁড়ে। প্রতিউত্তরে পুলিশও চড়াও হয়। আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক জশুয়া ওং কে পুলিশ গ্রেফতার করলেও পরে জামিনে মুক্ত হন তিনি।
এ নিয়ে ১৪ সপ্তাহের মতো হংকংয়ে সরকার বিরোধি আন্দোলন চলমান আছে।
বন্দি প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ক্রমে সরকার বিরোধি আন্দোলনে রূপ নেয়। বর্তমানে হংকংয়ের সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ, প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যামের পদত্যাগ এবং আন্দোলনে পুলিশের নৃশংসতা তদন্তে স্বাধীন তদন্ত কমিশঅন গঠনের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।