Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অস্ত্র ঠেকিয়ে স্বীকারোক্তি: ‘ব্যবস্থা নেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব’


৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৫:৪৯

ঢাকা: পিস্তল ঠেকিয়ে স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করার ঘটনায় জড়িত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব বলে জানিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবীরা।

আইনজীবীরা মনে করেন এসব পুলিশের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

‘পিস্তল ঠেকিয়ে স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা হয়েছে’ গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবরের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘এমন ঘটনা যে পুলিশ অফিসার ঘটিয়েছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

তিনি বলেন, ‘একজন সাধারণ মানুষকে জোর করে স্বীকারোক্তি নেওয়া যায় না।’

এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আমি আশা করি, যে আদালতে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে সেই আদালতে বিষয়টি তুলে ধরলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সঠিক আদেশ দেবেন।’

সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, ‘ডিবির লোকজন দুইজনের মাথায় পিস্তল ধরে খুনের আসামি করেছে। যেটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের কোনো উদ্যোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের খেদমত করা। চোর দুষ্কৃতকারি, ঘুষখোরদের খেদমত করা না। স্বার্থ সিদ্ধি করার জন্য যেসব পুলিশ অফিসার আছে তাদের খেদমত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব না। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব, সেই দায়িত্ব যেন অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস পালন করে।’

একটি জাতীয় দৈনিকে ‘পিস্তল ঠেকিয়ে স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করে পুলিশ‘ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, কিশোর আবু সাঈদ আদৌ খুনই হয়নি। সে জীবিত আছে। পুলিশতাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়েছে। অথচ আবু সাঈদ খুন হয়েছিল বলে চার বছর আগে পুলিশ প্রতিবেদন দিয়ে আদালতকে জানিয়েছিল। সাঈদকে খুন করেছেন জানিয়ে দুজন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায়স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন, যে খুনে দুই দফা রায়ের জন্য দিনও ধার্য করেছিলেন আদালত।

আবু সাঈদ ফিরে আসায় পুলিশের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই কথিত হত্যার ঘটনার আসামিরা দাবি করছেন, ডিবি অফিসে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে সাঈদ হত্যায় জড়িত থাকার স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা হয়েছিল।

অস্ত্র পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর