‘সম্মেলনের জন্য প্রস্তুত, নেত্রী বললেই আয়োজন’
৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:৩১
ঢাকা: দলের জাতীয় সম্মেলন করার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নিলে সেই অনুযায়ী সম্মেলন আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি কোনো কোনো মিডিয়ায় দেখলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। দেখুন, শোকের মাসে আমাদের ওয়ার্ড পর্যন্ত প্রতিদিন কর্মসূচি পালন হয়েছে। সভা-সমাবেশ লেগেই ছিল। বরং আগস্ট মাসে আমাদের কর্মসূচি আরও বেশি থাকে। আওয়ামী লীগ কখনো স্থবির থাকে না। আমাদের সাংগঠনিক তৎপরতার কোনো ঘাটতি নেই।
জাতীয় সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে জানতে চাইলে কাদের বলেন, ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে এ নিয়ে আলোচনা হতেই পারে। সাংগঠনিক আলোচনা আমাদের এজেন্ডার মধ্যে রয়েছে। আমরা এই মুহূর্তে কিছু বলতে চাচ্ছি না। তবে আমরা আমরা সম্মেলন করার জন্য প্রস্তুত। আমাদের নেত্রী যখন সিদ্ধান্ত নেবেন, তখনই আমরা সম্মেলন করব।
এর আগে, ২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই হিসাবে আগামী ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের এই কমিটির তিন বছর পূর্ণ হবে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে কবে নাগাদ সম্মেলন হতে পারে— জানতে চাইলে কাদের বলেন, তারিখ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে ঠিক হবে। পার্টির সেক্রেটারি হিসাবে ব্যক্তিগত মত বলে কিছু নেই। আমার কোনো মত থাকলে সেটা আমি দলের ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে উত্থাপন করব।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমাদের মেয়াদে যেসব শাখা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে, সে বিষয়ে নেক্সট ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
আসাম ইস্যু
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারত সরকার আমাদের আশ্বস্ত করেছে, আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো বিষয় এখন পর্যন্ত নেই। কারণ বিষয়টির লিগ্যাল প্রসেস কমপ্লিট করে সিদ্ধান্ত আকারে আসতে আরও সময় নেবে। সে পর্যন্ত কী দাঁড়ায়, সেটা দেখে চিন্তা-ভাবনা করেই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ভারত সরকারের সঙ্গে আমাদের যতটুকু মতবিনিময় হয়েছে তাতে আমরা জেনেছি, যাদের ‘স্টেটলেস’ ঘোষণা করা হয়েছে তাদের আপিল করার সুযোগ আছে। আর আমরা সাধারণভাবে জানি, একাত্তরের পর বাংলাদেশ থেকে কেউ ভারতে মাইগ্রেট করেনি। কাজেই এখনই আমাদের নিজেদের ঘাড়ে দোষ চাপানোর কারণ নেই।
এসময় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা পরিস্থিতি ও আসামের অনাগরিক পরিস্থিতিকে একইভাবে দেখার সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এ কে এম এনামুল হক শামীম, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ আবদুল্লাহ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপদফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য এসএম কামাল হোসেন, আমিরুল আলম মিলন, ইকবাল হোসেন অপুসহ অন্যরা।