Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাক্রাফটের সম্মেলন অনুষ্ঠিত, দায়িত্ব পেল নতুন কমিটি


৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২২:৫৯

ঢাকা: বাংলাদেশ হস্তশিল্প প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বাংলাক্রাফট) ৩৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ধানমন্ডিতে উইমেনস ভলান্টারি অ্যাসোসিয়েশন সেন্টারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বাজেট বিষয়ক আলোচনার পাশাপাশি ২০১৯-২০২১ সালের জন্য নির্বাচিত নতুন কমিটির হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। এ সময় নির্বাচিত সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তাদের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন বিগত কমিটির সভাপতি আশরাফুর রহমান ফারুক।

বিজ্ঞাপন

নতুন কমিটিতে মোট ১৮ জন সদস্য নির্বাচিত হন। এদের মধ্যে ১২ জন সম্মিলিত ফোরামের এবং বাকি ছয়জন সমমনা পরিষদ ও হস্তশিল্প উন্নয়ন পরিষদের।

সম্মিলিত ফোরাম থেকে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন গোলাম আহসান। যিনি এ কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন। এর আগে ২০০৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বাংলাক্রাফটের সভাপতি ছিলেন তিনি।

বর্তমান কমিটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন শাহিদ হোসাইন শামীম, ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজিয়া সুলতানা, ট্রেজারার এ বি এম হেলাল এক্সিকিউটিভ কমিটি মেম্বার মোহাম্মদ সানাউল হক বাবুল। সদস্য হয়েছেন মিয়া ফয়সাল হাসান, সোহেলী নাজনীন রুবা, মোহাম্মদ আবু কায়সার, দোলন চন্দ্র দাস, ফৌজিয়া আমিন নীনা, নাসিমা আখতার, পীযূষ ভদ্র, মোহাম্মদ খাইরুল আলম, মইন উদ্দীন, তোফাজ্জল হুসেইন, রফিকুল ইসলাম সেলিম, সানোয়ারা খাতুন ও এস ইউ হায়দার।

সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে গোলাম আহসান জানান, ইনকাম জেনারেটিং প্রজেক্ট হাতে নেওয়ার ইচ্ছার রয়েছে তাদের। এছাড়াও বাংলাক্রাফটের জন্য একটি সেক্রেটারিয়েট করতে চান। নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করার জন্য গবেষণা, উন্নয়ন ও ট্রেনিং সেন্টার করতে চান। এসব কাজ ঠিকমতো করার জন্য বাংলাক্রাফটের নিজস্ব ভবন তৈরির প্রতি জোর দেবেন তিনি। এই ভবন নির্মাণে সরকারের কাছ থেকে জায়গা বরাদ্দ নেওয়ার চেষ্টা করবেন।

বিজ্ঞাপন

এছাড়াও বাংলাক্রাফটের সদস্যদের জন্য ওয়ান স্টপ সল্যুশন, ই-কমার্স, ই-শপ ইত্যাদি চালু করবেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত দূতাবাসগুলো ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় বাংলাক্রাফটের সদস্যদের পণ্য নিয়ে নিয়মিত মেলা করতে চান। আগামী ১০০ দিনের কার্যক্রম হাতে নেবেন এবং কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অন্য সদস্যদের জানাতে ত্রৈমাসিক নিউজ লেটার ছাপানো হবে। আগামী ১০০ দিনের মধ্যে কার্যকরী কিছু করার জন্য সদস্যদে সবার শুভকামনা চান তিনি।

নতুন কমিটির সামনে কী কী চ্যালেঞ্জ আসতে পারে জানতে চাইলে গোলাম আহসান জানান, তিনি মনে করেন না সে রকম বড় কোনো বাধা আসতে পারে। আর যদি আসেও সেগুলো মোকাবিলা ও অতিক্রম করার মতো আত্মবিশ্বাস তার রয়েছে বলে জানান।

আগের কমিটির সদস্য মো. শফিকুল আলম সেলিম (সিআইপি) বলেন, ‘বাংলাক্রাফটের সদস্যদের ব্যাবসা শক্তিশালী হলে সংগঠন শক্তিশালী হবে।’

তিনি বলেন, ‘এ দেশ বাহারি শিল্পের সমাহার। তাঁতি, মুচি, ডোম, স্বর্ণকার, কামার, কুমারসহ নানা ধরনের শিল্পের দেখা পাওয়া যায় এই দেশে। মসলিনের মতো শাড়ি বানায় এই দেশের কারিগররা।

ফিনল্যান্ড শুধুমাত্র কেরোসিন কাঠের ওপর ভিত্তি করে অনেক এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের সেখানে হস্তশিল্পে অনেক আগে থেকেই উন্নত। এখন প্রয়োজন হোলসেল মার্কেটে হস্তশিল্প বাজারজাত করা।

বাংলাক্রাফট হস্তশিল্প নিয়ে কাজ করলেও মার্কেটিংয়ে পিছিয়ে আছে। ২০৩০ সালে পেট্রোলিয়াম শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাতে প্লাস্টিকের উৎপাদনও কমে যাচ্ছে। এদের বিকল্প হবে প্রাকৃতিক ফাইবার বা তন্তু যা পাওয়া যাবে পাট, তুলা ইত্যাদি থেকে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য এটাই সুযোগ নিজস্ব হস্তশিল্প নিয়ে দেশ ও দেশের বাইরের বাজারের জন্য প্রস্তুত হওয়া।’

১৯৮৩-১৯৮৪ কমিটির সাবেক সভাপতি আবু আলম চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ হস্তশিল্পে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। আমাদের দেশের নারীরাই সাধারণত এ কাজ করে থাকেন। শুধুমাত্র হস্তশিল্পের মাধ্যমেই লাখ লাখ গ্রামীণ লোকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। এতে গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা সচল থাকছে।’ নতুন কমিটির প্রতি তিনি শুভকামনা জানান এবং যে কোনো সাহায্য ও পরামর্শের জন্য তিনি সদা প্রস্তুত বলেও জানান।

বাংলাক্রাফট সম্মেলন

বিজ্ঞাপন

আদানি গ্রুপের নতুন সংকট
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৬

আরো

সম্পর্কিত খবর