রেইনট্রি ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য দিলেন দুই ম্যাজিস্ট্রেট
৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:৫৫
ঢাকা: বনানীতে রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় ঢাকার দুই ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষ্য নিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। বুধবার (৪ আগস্ট ) দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ৭ এর বিচারক মো. খাদেম উল কায়েস এ ম্যাজিস্ট্রেটের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন। তাদের জেরা শেষ না হওয়ায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৫ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
সাক্ষ্য দেওয়া দুই ম্যাজিস্ট্রেট হলেন- ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার ও সাবেক মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ম্যাজিস্ট্রেট দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার আসামিদের ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে ১৬৪ ধারায় (স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি) নিয়েছিলেন সেই বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ নিয়ে মামলাটিতে ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে।
এর আগে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মামলাটির ধর্ষণের শিকার এক তরুণীকে জেরা করা হয়েছিল। ওই দিন আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাতের জামিন বাতিল করেন আদালত। একই সঙ্গে সাফাত আহমেদের বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিমের জামিন না মঞ্জুর করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর সফাতের জামিন মঞ্জুর করেছিলেন একই ট্রাইব্যুনাল।
এদিন আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। অপরদিকে, সাফাতের বন্ধু সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ট্রাইব্যুনালে হাজিরা দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর সাফাত আহমেদের জামিন মঞ্জুর করে একই বিচারক। এর আগে বিভিন্ন সময় ধর্ষণের সহযোগী আসামি সাফাত আহমেদের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন এবং বন্ধু সাদমান সাকিব হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।
২০১৭ সালের ৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রটি আদালতে দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ১৩ জুলাই একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ওই বছরে ১৯ জুন একই ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। অপর আসামি সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে ওই আইনের ৩০ ধারায় ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়েছে।