বৃহস্পতিবারের যানজট: রাজধানীবাসীর জন্য অনিশ্চিত যাত্রা
৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১২:২৯
ঢাকা: প্রতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের (বৃহস্পতিবার) সকালে রাজধানীবাসীকে এক অনিশ্চিত যাত্রার প্রস্তুতি নিয়ে রাস্তায় নামতে হয়। এ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসও (৫ সেপ্টেম্বর) এর ব্যতিক্রম হয়নি। সকাল থেকেই রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সব পয়েন্টে যানবাহনের লম্বা লাইন আর ধীরগতির কারণে এরই মধ্যে ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
কয়েকজন ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, নির্ধারিত সময়ের দুই-তিন ঘণ্টা আগে কর্মস্থলে রওনা দিয়েও পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে যারা গণপরিবহন ব্যবহার করছেন তাদের অবস্থা আরও শোচনীয়।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সড়কে উন্নয়ন কাজ চলায় সড়ক সংকুচিত হয়ে পড়েছে। ফলে গাড়ির চাপ বেড়ে গেলে আর কোনভাবেই ভারসাম্য রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়াও ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে হিমশিম খাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এসবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ের প্রবণতা, ইউ টার্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে চালকদের অদক্ষতা এবং অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা।
যানজট ও ভোগান্তি নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহাগর ট্রাফিক পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মতিফ আহমেদ সারাবাংলাকে জানান, ঢাকায় যানজট বাড়ার হাজারটা কারণ রয়েছে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেড়ে যাওয়া এর প্রধানতম কারণ। আজকের যানজটও ব্যতিক্রম কোনো ঘটনা নয়। তবে যানজট সহনীয় মাত্রায় আনার জন্য ট্রাফিক বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রত্যেকটি পয়েন্টে আমরা আমাদের বার্তা পৌঁছে দিয়েছি। তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে শেরেবাংলানগরে দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) রবিউল ইসলাম সারাবাংলাকে জানান, ঢাকার যানজট নির্দিষ্ট কোনো এলাকার ওপর নির্ভর করে না। বরং সব এলাকার চাপ সব পয়েন্টের ওপর পড়ে। তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছেন সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রায় অর্ধেক চলে গেছে। দ্বিতীয়ার্ধেও পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হবে বলে কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। তাই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে যারা জরুরি প্রয়োজনে অন্যত্র ভ্রমণ করতে চাচ্ছেন, তাদের অবশ্যই হাতে সময় নিয়ে বেরুতে হবে।
উন্নয়ন ট্রাফিক ঢাকা বৃহস্পতিবার ব্যক্তিগত গাড়ি যানজট রাজধানী