Saturday 19 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার চার্জ শুনানি ৭ অক্টোবর


৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১২:০৪ | আপডেট: ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১২:৪৯
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফাইল ছবি

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামির বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি পিছিয়ে আগামী ৭ অক্টোবর দিন ঠিক করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে মামলাটির চার্জ শুনানির দিন নির্ধারিত ছিল। তবে, এদিন মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। যে কারণে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে আদালতে হাজির করেননি। তার পক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ শুনানি পেছানোর জন্য আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগারের পাশে দ্বিতীয় ভবনের অস্থায়ী-২ নং বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এইচ এম রুহুল ইমরান সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।

বিজ্ঞাপন

মামলায় অভিযুক্ত আসামির সংখ্যা ১৩ জন। কিন্তু জামায়াত নেতা নিজামী ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর ও ব্যারিস্টার আমিনুল হক মারা যাওয়ায় এখন আসামির সংখ্যা ১০ জন।

আসামিরা হলেন- বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন।

গত ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।

কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন।

কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা খালেদা জিয়া চার্জ শুনানি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর