ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকস’র যাত্রা শুরু

ঢাকা : বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বেসরকারি খাতে চালু হলো ডিএমআরএফ মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনষ্টিকস। এই ল্যাবে স্বল্প সময়ের মধ্যে সঠিক রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হবে। এতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিশ্বের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। ফলে এখন থেকে ক্যান্সারসহ জঠিল রোগের পরীক্ষা করতে আর ভারতে যেতে হবে না।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডির সোবহানবাগে নাভানা নিউবারীতে ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকস এ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নরুল হক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.ফাইজুর রহমান বকুল, পরিচালক আসিফ মোহাম্মদ নূর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্ষ প্রফেসর ডা. রুহুল আমিন ও সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা নিতে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেন্নাই ও ব্যাঙ্গালুর এবং সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে যান। এতে করে একদিকে রোগীদের বাড়তি অর্থ ও সময় ব্যয় হয়। অন্যদিকে দেশ হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। তাই দেশের মানুষের যাতে দেশের মধ্যে সব ধরনের জঠিল রোগ নির্ণয় করতে পারে সেজন্য দেশে সর্বাধুনিক ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেছে ডিএমএফআর। এখানে কম খরচে বিশ্বমানের প্রযুক্তির মাধ্যমে জটিল ও কঠিন রোগ নির্ণয় করা যাবে।

প্রফেসর ডা.দ্বীন মোহাম্মদ নরুল হক বলেন, আমরা দেশে প্রথমবারের মত বেসরকারিখাতে মলিকুলার ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেছি। এখানে সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করা হচ্ছে এবং রোগ সনাক্তকরণ টেস্ট বলে দেয় রোগের জন্য কি ধরণের ওষুধ দিতে হবে। এতে করে রোগীদের অযথা বাড়তি ওষুধ সেবন করতে হবে না তেমনি ভুল চিকিৎসাও থাকবে না।

তিনি বলেন, সম্প্রতি এডিস মশার জীবানুঘটিত ডেঙ্গু জ্বরের প্রার্দুভাব মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলে।এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরাও মানুষের সহযোগিতায় হাত বাড়িয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগষ্ট থেকে মাসব্যাপি বিনামূল্যে ডেঙ্গু চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। এ সময়ে মোট ২ হাজার ৬৬৮ জন রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। যার মধ্যে থেকে ১ হাজার ১২৮ রোগীর ডেঙ্গু এনএস-১ টেস্ট করাহয়।যেখানে ডেঙ্গু এনএস-১ পজিটিভ ৮ দশমিক ২ শতাংশ। ৩৪৬ জন রোগীর ডেঙ্গু আইজিজিও আইজিএম টেস্ট করা হয়, যেখানে ৫০ দশমিক ৩ শতাংশ ডেঙ্গু আইজিজি পজিটিভ এবং ৯ দশমিক ৫ শতাংশ ডেঙ্গু আইজিএম পজিটিভ পাওয়া গেছে।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাইজুর রহমান বকুল বলেন, দেশের মানুষের বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবার জন্য ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনিস্টিক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।সংকটময় মুহূর্তে শতভাগ নির্ভূল ও উন্নত সেবা নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা গর্বিত।

ড. জাকির হোসেন বলেন, এই ল্যাবে বিশ্বের সর্বাধুনিক এবং সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে রোগ নির্ণয় করা হয়।

তিনি বলেন, জিন পরিবর্তনের মাধ্যমে অস্বাভাবিক শিশুকে জিন পরিবর্তন করে স্বাভাবিক করা সম্ভব। আমরা এখানে নেই কাজটি করা হবে।

সারাবাংলা/জিএস

ডিএমআরএফ মলিকুলার ল্যাব