ক্লাসে দেরি করে আসায় ছাড়পত্র!

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে জামালগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে ময়না আক্তার নামে সপ্তম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে ১০ মিনিট পর ক্লাসে আসার অপরাধে স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ওই শিক্ষার্থীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্থানীয় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ময়না আক্তার দুপুরে টিফিনের সময় বাইরে যায়। টিফিন শেষে ১০ মিনিট পর ক্লাসে ফেরে। এ সময় দেরি করে আসার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক ময়না আক্তারকে ছাড়পত্র দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার কথা জানায়। পরদিন ওই শিক্ষার্থীর মা সুলতানা পারভীনকে মোবাইল ফোনে ডেকে স্কুলে এনে ছাড়পত্র দেন প্রধান শিক্ষক।

এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে জামালগঞ্জ বাজারের জেডিসি মোড়ে স্কুলের শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, আক্কেলপুর উপজেলা পরিষদ সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আছিয়া খানম শম্পা, রুকিন্দিপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আনোয়ার হোসেন বাবু, জাহানারা বেগম, নেগার সুলতানা প্রমুখ।

জামালগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রানা কুমার মন্ডল জানান, ওই শিক্ষার্থী বুধবার দুপুর ১টার দিকে কাউকে না জানিয়ে স্কুল থেকে চলে যায়। ৩টা ২০ মিনিটে স্থানীয় রকি নামে একটা ছেলে তাকে স্কুলে দিয়ে যায়। এ ঘটনায় স্কুলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কমিটির সম্মতিক্রমে তাকে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই ঘটনার জের ধরে বুধবার সন্ধ্যায় ময়না আক্তারের পক্ষের লোকজন স্কুলের অফিস সহকারি শাহআলমকে জামালগঞ্জ বাজারে মারপিট করে।

স্কুলের পরিচালনা কমিটির সভাপতি গোলাম মাহফুজ চৌধুরি ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা স্বীকার করেন।

তবে রুকিন্দিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আহসান কবির এপ্লব স্কুল কর্তৃপক্ষের ওই অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করেন বলেন, স্কুল পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে ওই শিক্ষার্থীর বাবা মুকুল হোসেন সভাপতির বিরোধীতা করেন। তারই প্রতিশোধ নিতেই ওই শিক্ষার্থীকে স্কুল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

সারাবাংলা/টিসি