প্রেমিকের বিয়ের খবরে ‘অন্তঃসত্ত্বা’ প্রেমিকার আত্মহত্যা
৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২২:৫৭
ঢাকা: নোয়াখালীতে প্রেমিকের বিয়ের খবর শুনে অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকা আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে হাতিয়া উপজেলার রহমত বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দুপুরে থানা পুলিশ ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
ওই কিশোরীর নাম বকুল আক্তার (১৬)। প্রেমিকের নাম শাহরাজ উদ্দিন (২০)। তারা দীর্ঘ সাতমাস ধরে একে অপরকে ভালোবাসত। ভালোবাসার সম্পর্কের জের ধরে শাহরাজ ওই কিশোরীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে। এতে ওই কিশোরী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে মেয়েটির পক্ষ থেকে ছেলেটির সঙ্গে বিয়ের জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়।
কিন্তু অভিযোগ রয়েছে ছেলের স্বজনরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আকতার হোসেনের যোগসাজসে অভিযুক্ত শাহরাজকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয়। এ খবর শোনার পর অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী আত্মহত্যা করে।
কিশোরীর ভগ্নিপতি (দুলাভাই) মো. মনির হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি সাগরে মাছ ধরার কাজে কিছুদিন ধরে ব্যস্ত ছিলাম। সাত আটদিন আগে সাগর থেকে এলাকায় আসার পর এলাকার মানুষজন আমার শালিকা বকুলকে নিয়ে নানা কথা বলতে থাকে। পরে বাড়িতে গিয়ে তার কাছ থেকে শুনতে পায় তারা সাত মাস ধরে প্রেম করছে। গত পরশুদিন শুনতে পাই ওই ছেলের অন্য জায়গায় বিয়ে হয়েছে। আমরা বকুলকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। সে যে আত্মহত্যা করবে এটি বুঝতে পারিনি।’
মনির হোসেন বলেন, ‘আমরা এ ঘটনায় থানায় মামলা করব। আমরা এ ঘটনার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ৯ নং বুড়িরচরের ইউপি সদস্য মো. আকতার হোসেন বলেন, ‘মেয়েটির ঘটনা সত্য। কিন্তু ছেলের বিয়ের সঙ্গে আমার সহযোগিতার যে অভিযোগ এটি সত্য নয়। আমি ছেলে পক্ষের সঙ্গে বিষয়টির মীমাংসার কথা বলে দুইদিনের সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে ছেলেকে অন্য জায়গায় বিয়ে দেবে তা জানতাম না।’
এ বিষয়ে উপজেলা হাতিয়ার সাগরিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজির আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে কিশোরী মরদেহ উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। শুনেছি মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা ছিল। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারব।’
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের সারাবাংলাকে বলেন, ‘কিশোরী আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা হলে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’