৮ মাসে প্রায় ১৭ লাখ ফ্রিজ বিক্রির রেকর্ড ওয়ালটনের
৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৯:৫৩
ঢাকা: স্থানীয় বাজারে ফ্রিজ বিক্রিতে প্রতিবছরই অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে ওয়ালটন। সেইসঙ্গে স্পর্শ করছে একের পর এক মাইলফলক। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় বাজারে ফ্রিজ বিক্রিতে নতুন রেকর্ড গড়েছে কোম্পানিটি । জানুয়ারি থেকে আগস্ট, বছরের প্রথম আট মাসে প্রায় ১৭ লাখ ইউনিট ফ্রিজ বিক্রি করেছে ওয়ালটন। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৫১ শতাংশ বেশি।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতি বছর ফ্রিজের ডিজাইন ও কালারে আনা হয়েছে বৈচিত্র্য। মানোন্নয়নের আত্ম-বিশ্বাসে ফ্রিজ কম্প্রেসারের গ্যারান্টির মেয়াদ বাড়িয়ে ১২ বছর করা হয়েছে। বাজারে ছাড়া হয়েছে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী লেটেস্ট প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ও গ্লাস ডোরসহ ওয়্যাইড ভোল্টেজ ফিচারের ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর। রয়েছে কিস্তি সুবিধা এবং সহজলভ্য বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তা। এদিকে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন ফোরের আওতায় ফ্রিজের ক্রেতাদের জন্য রয়েছে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ। আছে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার কিংবা আরেকটি ফ্রিজ, টিভিসহ অসংখ্য অ্যাপ্লায়েন্সেস ফ্রি। এসব কারণে ক্রেতাদের কাছে হটকেকে পরিণত হয়েছে ওয়ালটন ফ্রিজ।
ফ্রিজ বিক্রির এই সাফল্য উদযাপনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় (৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯) রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন ব্র্যান্ডিং অ্যাওয়ার্ড ও বেস্ট এরিয়া ম্যানেজার ইভাল্যুয়েশন অ্যাওয়ার্ড জুলাই-২০১৯’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যাতে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের ব্যাপক প্রচার ও রেকর্ড পরিমাণ ফ্রিজ বিক্রির সাফল্যে বিশেষ অবদান রাখায় ৩০ জন কর্মকর্তা এবং ২০ জন পরিবেশককে পুরস্কৃত করে কর্তৃপক্ষ।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইভা রিজওয়ানা, এমদাদুল হক সরকার, নজরুল ইসলাম সরকার, এস এম জাহিদ হাসান, হুমায়ূন কবীর, সিরাজুল ইসলাম, মো. রায়হান, আরিফুল আম্বিয়া, ড. সাখাওয়াৎ হোসেন ও আমিন খান, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. ফিরোজ আলম, শাহজাদা সেলিম ও মো. শাহ আলম, অপারেটিভ ডিরেক্টর রবিউল আলম ভুঁইয়া, মিডিয়া উপদেষ্টা এনায়েত ফেরদৌস প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘২০১৯ সাল ওয়ালটনের জন্য নতুন মাইলফলক অর্জনের চ্যালেঞ্জিং ইয়ার। এ বছর স্থানীয় বাজারের মতো আন্তর্জাতিক বাজারেও আশাতীত প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে ওয়ালটন। বিশ্বের যেকোনো দেশের ক্রেতাদের অভ্যাস, রুচি, মানদণ্ড ও ব্যবহার উপযোগী ফ্রিজ তৈরির সক্ষমতা রয়েছে ওয়ালটনের। ভারতের বাজারে ওয়ালটনের তৈরি ফ্রিজ বিক্রিতে হুন্দাই ও রিলায়েন্সের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজনের মাধ্যমে আমেরিকায় যাচ্ছে ওয়ালটন পণ্য। এছাড়া বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা ব্র্যান্ডের নামে চাহিদা মোতাবেক পণ্য তৈরি করে দিতে কাজ চলছে।
তারা বলেন, এখন ওয়ালটনের টার্গেট- ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত বিশ্বের বাজার। সেজন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব ও সৃজনশীল ডিজাইনের গ্লোবাল মডেলের ফ্রিজ তৈরি করছে ওয়ালটন। এসব ফ্রিজের ডিজাইন, উৎপাদন এবং বিশ্বব্যাপী বিপণন নিয়ে কাজ করছেন ইটালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা। সেজন্য উৎপাদন প্রক্রিয়া, গবেষণা ও উন্নয়ন (আরএনডি), মান নিয়ন্ত্রণ বা কোয়ালিটি কন্ট্রোলসহ (কিউসি) বিভিন্ন বিভাগে স্থাপন করা হয়েছে বিশ্বের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিনারিজ ও যন্ত্রপাতি।
ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গোলাম মুর্শেদ জানান, আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারী সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে তাদের প্রতিটি ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার, ন্যানো হেলথ কেয়ার ও এন্টি ফাংগাল ডোর গ্যাসকেট প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ওয়ালটন। দেয়া হচ্ছে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি। এরসঙ্গে সাশ্রয়ী মূল্য এবং কিস্তি সুবিধা থাকায় দেশের বাজারে গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে ওয়ালটন ফ্রিজ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অনলাইনে দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে কাস্টমার ডাটাবেজ তৈরি করছে ওয়ালটন। সেজন্য সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এর আওতায় ইতোমধ্যেই ২০ জনেরও বেশি ক্রেতা মিলিয়নিয়ার হয়েছেন। অসংখ্য ক্রেতা ১ লাখ টাকা করে পেয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন অঙ্কের নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারসহ ফ্রিজ, টিভি ও নানান ধরনের ইলেকট্রনিক্স পণ্য ফ্রি পেয়েছেন হাজার হাজার ক্রেতা।