বান্দরবানে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১১:৪৪
বান্দরবান: চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদের আহ্বানে ও ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বান্দরবানে চলছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট। ধর্মঘটের কারণে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বান্দরবান হতে কোনো ধরনের দূর পাল্লার যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে যায়নি।
এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও সাধারণ পর্যটকরা। তাদের অভিযোগ, কোনো প্রকার আগাম ঘোষণা ছাড়া অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের কারণে তাদের বাস স্টেশনে আটকা পড়তে হয়েছে।
তবে মাঝেমধ্যে সিএনজি, মাহিন্দ্র ও জীপ চলাচল করছে।
স্থানীয় বাস কাউন্টার ম্যানেজার বেলাল জানান, বান্দরবান শহরে সকাল থেকে পূরবী ও পূবার্ণীসহ কোনো ধরনের বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। তবে বিষয়টি তাদেরও জানা ছিল না।
গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদ সূত্র জানায় তাদের দাবিগুলো হলো, পণ্য ও পণ্য পরিবহনের কাগজপত্র হালনাগাদ করার জন্য জরিমানা মওকুফ করা ও এই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত কাগজপত্র যাছাই বাছাইয়ের নামে হয়রানি বন্ধ করা।
বিআরটিএ ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ভোক্তা অধিকার আইন প্রয়োগ করে গণ ও পণ্য পরিবহনে কোনো জরিমানা আদায় না করা এবং হাইওয়ে ও থানা পুলিশ কর্তৃক গাড়ি জব্দ করা যাবে না। চট্টগ্রাম মেট্রো এলাকায় গাড়ি ইকোনমিক লাইফের অজুহাত দেখিয়ে ফিটনেস ও পারমিট নবায়ন বন্ধ রাখতে হবে।
আরও দাবি, ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক যান্ত্রিক ত্রুটিযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্যকোনো অজুহাত দেখিয়ে গণ ও পণ্য পরিবহন টু বা ডাম্পিং করা যাবে না। সহজ শর্তে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান ও কাগজপত্র হালনাগাদের ক্ষেত্রে বিআরটিএ এর কার্যক্রমে ভোগান্তি বন্ধ করতে হবে।
এছাড়া, বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিভাগের সড়ক ও মহাসড়কে গ্রাম সিএনজি ও মেট্রো সিএনজি চলাচলের ক্ষেত্রে আরটিসি এর সিদ্ধান্ত কার্যকর ও ঢাকা চট্টগ্রামের মহাসড়কে স্থাপিত ওয়ে স্কেল দুটি পরিচালনার দায়িত্ব বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দেওয়া।
মহাসড়কে পণ্য চুরি-ডাকাতি রোধে বর্তমান আইনের পরিবর্তন ঘটিয়ে নতুন আইন প্রণয়ন এবং মহাসড়ক ও মেট্রো শহর এলাকায় গণ ও পণ্য পরিবহন যত্রতত্র দাঁড় করিয়ে চেকিং এর নামে হয়রানি বন্ধ করে নির্দিষ্ট দুটি স্থানে চেকিং পয়েন্ট নির্ধারণেরও দাবি জানিয়েছে গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদ।