জামিনে মুক্ত ব্যারিস্টার মইনুল
৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৭:৫৮
ঢাকা: মানহানির অভিযোগে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির দায়ের করা মামলায় জামিন পাওয়ার পর কারামুক্তিও পেয়েছেন ব্যারিস্টার মইনুল ইসলাম। জামিন আদেশ হাতে পাওয়ার পর বিকেলে তিনি কেরানিগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কেরানিগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল কবীর চৌধুরী সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেল সুপার বলেন, জামিনের সব কাগজ হাতে পাওয়ার পর বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে কারাগার থেকে জামিনে বের হন ব্যারিস্টার মইনুল।
এর আগে, রোববার দুপুরে মানহানির ওই মামলায় ৫ হাজার টাকার বন্ডে ব্যারিস্টার মইনুলের জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন। একই আদালত গত ৩ সেপ্টেম্বর তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি নিজে বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন। এই মামলায় গত বছরের ২১ অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগ থেকে জামিন পান ব্যারিস্টার মইনুল। এরপর গত ১২ মে সিএমএম আদালত তাকে জামিন দেন। রাষ্ট্রপক্ষ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ গত ২১ আগস্ট ব্যারিস্টার মইনুলকে সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন নেওয়ার নির্দেশ দেন। এদিন সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পন করেন তিনি।
গত বছরের ১৬ অক্টোবর বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে এক প্রশ্নের জেরে চরিত্রহীন বলে মন্তব্য করেন ব্যারিস্টার মইনুল। এ মন্তব্যের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
ব্যারিস্টার মইনুলকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দেন নারী সাংবাদিকরা। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে বিবৃতি দেন, বিবৃতি দেন বিশিষ্ট নাগরিকরাও। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সৌদি সফর শেষে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার মইনুলের সমালোচনা করেন।
ব্যারিস্টার মঈনুল তার মন্তব্যের জন্য প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কিন্তু দাবি অনুযায়ী ওই প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়ায় ২১ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন মাসুদা ভাট্টি। ওই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয় মইনুলের নামে।
পরে কুমিল্লা, কুড়িগ্রামে ও বিভিন্ন জেলায় মামলা হয় তার নামে। এর মধ্যে ঢাকা ও জামালপুরের মামলায় পাঁচ মাসের ও কুড়িগ্রামের মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পান ব্যারিস্টার মইনুল। রংপুরে দায়ের করা মামলায় ২২ অক্টোবর ঢাকার উত্তরা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৫ মামলায় জামিন পাওয়ার পর ২৭ জানুয়ারি কারামুক্ত হন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।
জামিনে মুক্ত ব্যারিস্টার মইনুল ব্যারিস্টার মইনুল ইসলাম ব্যারিস্টার মইনুলের জামিন