৫ সপ্তাহের জন্য ‘সংসদহীন’ যুক্তরাজ্য
৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৮:০৯
ব্রেক্সিট নিয়ে নানামুখী অনিশ্চয়তার মধ্যেই আগামী পাঁচ সপ্তাহের জন্য ‘সংসদহীন’ হয়ে পড়ছে যুক্তরাজ্য। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এই পাঁচ সপ্তাহের জন্য সংসদের কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। এর আগে তিনি ব্রিটেনের রানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এমন পরিকল্পনার কথা জানালেও এবার এসেছে চূড়ান্ত ঘোষণা। বরিস জনসনের কার্যালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, আগামী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত সংসদের সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট ও গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) লন্ডন স্থানীয় সময় দুপুর পৌনে ১২টার দিকে (বাংলাদেশ সময় বিকেল পৌনে ৫টা) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিট থেকে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। এর ফলে ব্রিটিশ সংসদে আজকের কার্যক্রমের পরই অধিবেশন স্থগিত হয়ে যাবে।
ব্রিটিশ সংসদের এই সংসদহীন বা স্থগিতাবস্থাকে বলা হয় ‘Prorogation’। সাধারণভাবে ব্রিটেনে সংসদের এক অধিবেশন শেষে অন্য অধিবেশন শুরু হওয়ার মাঝে সময়টি সংসদ মুলতবি থাকে। এসময় অধিবেশনের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও সংসদের রুটিন কার্যক্রম চলমান থাকে। অন্যদিকে, জাতীয় নির্বাচনের আগে সংসদের শেষ অধিবেশনের শেষ কার্যদিবসে সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়। কিন্তু ‘Prorogation’ প্রক্রিয়ায় সংসদের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও সংসদ ভেঙে গেছে বলে গণ্য হবে না। ব্রেক্সিট ইস্যুতে চলমান সংকট উত্তরণে কোনো পথ না খুঁজে পেয়ে শেষ পর্যন্ত সংসদের এই স্থগিতাবস্থার শরণাপন্ন হলেন বরিস।
চুক্তিহীন ব্রেক্সিট হবে ‘ব্যর্থতা’
এদিকে, আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে আইরিশ প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকারের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে বরিস জনসন বলেছেন, অক্টোবরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সামিটের আগেই ব্রেক্সিট নিয়ে চুক্তিতে উপনীত হওয়া সম্ভব হবে বলে আশাবাদী তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো ধরনের চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট করতে হলে তা হবে যুক্তরাজ্যের জন্য ব্যর্থতা।
ব্রেক্সিট ইস্যুতে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে ব্রিটেনের ওপর। এর মধ্যে কোনো সিদ্ধান্তে না আসতে পারলে ফের ইইউয়ের কাছ থেকে সময় চাইতে হবে। তবে বরিস বলছেন, তারা আর বাড়তি সময় চাইবেন না। যদিও আইরিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সময় বাড়ানোর প্রয়োজন হলে তাতে সমর্থন থাকবে তার সরকারের।
বরিস জনসন বলেন, ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই আমাদের ইইউ থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তা না করতে পারলে সেটা আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর যে আস্থা রয়েছে, তাকে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।