‘চিরকুটে ভর্তির’ খবরের মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে: ঢাবি
৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২১:০২
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের সময় উপাচার্যের চিরকুটে ছাত্রলীগের ৩৪ জন নেতার ভর্তি হওয়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হয়েছে বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদফতর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘‘কতিপয় দৈনিকে দুদিন ধরে (৮-৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগে ‘মাস্টার্স অব ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট’ প্রোগ্রামে কথিত ‘চিরকুটে ভর্তি’ বিষয়ে প্রকাশিত একটি খবরের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। খবরটির মাধ্যমে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে উপাচার্য কোনো বিভাগ/ইনস্টিটিউট-এ ভর্তির জন্য কোনো শিক্ষার্থীকে কোনো ‘চিরকুট’ বা নির্দেশনা দেননি, দেবার সুযোগ নেই। নির্দিষ্ট নিয়মে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদন করেন। তাই উপাচার্যকে আবর্তন করে অবান্তর, অসত্য, দায়িত্বহীন বক্তব্য ও তথ্য প্রচার না করার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হলো।’’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সকল সান্ধ্যকালীন/প্রোফেশনাল একাডেমিক কার্যক্রম বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে। জনমনে বিভ্রান্তি নিরসনকল্পে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উপর্যুক্ত বক্তব্য আপনার পত্রিকায় যথাযথ গুরুত্বসহকারে প্রকাশের জন্য অনুরোধ করা হলো।’
প্রসঙ্গত, গত রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) একটি জাতীয় দৈনিকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বেরিয়ে আসে, গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে ছাত্রলীগের ৩৪ জন সাবেক ও বর্তমান নেতা ছাত্রত্ব টিকিয়ে রাখতে ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের মাস্টার্স অব ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে ভর্তি হন। তফসিল ঘোষণার পর ছাত্রলীগ নেতারা উপাচার্যের সইকরা চিরকুট ও অনুষদের ডিনের সহায়তায় নিয়ম বহির্ভূত উপায়ে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তি হন।
নির্বাচন করতে আগ্রহী এই ৩৪ জনের মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সম্পাদক ও সদস্য পদে নির্বাচনে আট জন অংশ নেন, বিজয়ী হন সাতজন। এ ছাড়া দুটি হল সংসদের ভিপি পদে অংশ নেন দুজন। তাদের মধ্যে একজন নির্বাচিত হন, অন্যজন পরাজিত হন। আরেকজন ছিলেন ডাকসু নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য।