‘যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ় অবস্থান নিলে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পাল্টে যাবে’
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৭:৩৬
ঢাকা: রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা এই সংকট কাটাতে যথেষ্ট বলে মনে করছেন না পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যাপারে বাংলাদেশকে সমর্থন দিচ্ছে আবার একইসঙ্গে মিয়ানমারের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যও চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিলে রোহিঙ্গা সংকট সহজেই কেটে যাবে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা লেডিস ক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বড় ডোনার। তারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমাদের অনেক টাকা-পয়সা দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে তারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমাদের পক্ষে তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
তবে রোহিঙ্গা সংকট মেটাতে ঢাকা চায়, যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিক। একথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা (গণমাধ্যমকর্মীরা) যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জানতে চাইতে পারেন যে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আমাদেরকে এই ইস্যুতে সমর্থনের কথা বলছে অথচ তারা (যুক্তরাষ্ট্র) মিয়ানমারকে এখনো জিএসপি সুবিধা দিচ্ছে, মিয়ানমারের সঙ্গে এখনো ব্যবসা চালিয়ে রেখেছে। শুধু ব্যবসা নয় সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের সঙ্গে নৌ বাহিনী সংক্রান্ত একটি বিষয়ে কাজ করছে। অথচ যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান নিলে রোহিঙ্গা পরিস্থিতির দৃশ্য পাল্টে যাবে।
এনআরসি নিয়ে ভারতকে বিশ্বাস করি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে চাচ্ছি, এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। আশা করি, আগামীতে প্রত্যাবাসন শুরু হবে। সমস্যা জিইয়ে থাকলে যতোগুলো রাষ্ট্র আছে এই এলাকায়, সেটা চীন, ভারত, মিয়ানমার এবং অন্যান্য প্রত্যেকেরই আগামীতে স্থিতিশীলতায় (প্রত্যেকেরই আন-সার্টেনিটি ডেভেলপ করবে) ছেদ পড়বে।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু আমাদের কাছে অগ্রাধিকার বিষয়। আসন্ন জাতিসংঘ সম্মেলনের বিভিন্ন ফোরামে আমরা এই ইস্যু নিয়ে কথা বলব। জাতিসংঘ সম্মেলনের ফাঁকে মিয়ানমারের সঙ্গে একটি বৈঠকের বিষয়ে আলাপ আলোচনা চলছে। কেউ কেউ প্রস্তাব দিয়েছে কিন্তু শুধু শুধু বসে তো লাভ নাই। আমরা অনেক বসেছি কিন্তু কাজ হয়নি। আমরা ফলপ্রসূ আলাপ চাই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক রোহিঙ্গা ইস্যু