জি এম কাদেরকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে ছাড়বো: রাঙ্গা
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৭:৪৫
ঢাকা: আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে বিজয়ী করার মাধ্যমে পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর পদে বসানো হবে বলে মন্তব্য করেছেন পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা। তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালে জি এম কাদেরকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে ছাড়বো। উনি একদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেনই।’
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে (আইআইবি) জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
আরও পড়ুন- হল পাওয়া যায়নি, জাপার কাউন্সিল ২১ ডিসেম্বর: জি এম কাদের
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাঙ্গা বলেন, ‘ফেসবুকে জি এম কাদেরকে পার্টির চেয়ারম্যান বলার পর অনেকে হাসাহাসি করেছে। কিন্তু তিনিই চেয়ারম্যান হয়েছেন। একদিন তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও হবেন।’
আগামী নির্বাচনের জন্য ছাত্র সমাজকে সুসংগঠিত করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পার্টিকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। আজ থেকে চার বছর পর যে নির্বাচন তার জন্য ছাত্র সমাজকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।’
এছাড়া তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি করে কিন্তু তাদের ছেলে-মেয়েরা অন্য দলের ছাত্র সংগঠন করে, তা হবে না। যদি পার্টির মধ্যে এমন কোনো এমপি থাকে আগামী নির্বাচনে তাকেও মনোনয়ন দেওয়া হবে না। আমি জাতীয় পার্টি করলে আমার ছেলে-মেয়েকে জাতীয় ছাত্র সমাজই করতে হবে।’
‘এরশাদ সাহেবকে বিশ্বাস করলে আমাদের বিশ্বাস করতে হবে। এরশাদ সাহেবই আমাদের দায়িত্ব দিয়ে গেছেন’—বলেন রাঙ্গা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জি এম কাদের বলেন, ‘অক্টোবরে জাতীয় ছাত্র সমাজের এই কমিটির মেয়াদ শেষ হবে। নতুন করে কমিটির মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না। অক্টোবর মাসেই ছাত্র সমাজের সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আটটি বিভাগের জন্য আটটি কমিটি করে দেওয়া হবে। সেই কমিটি বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে কেন্দ্রীয়ভাবে রিপোর্ট দেবে। তার ওপর ভিত্তি করে নতুন কমিটি গঠন ও ছাত্র সমাজকে চাঙ্গা করা হবে।’
ছাত্রদের মধ্য থেকেই ছাত্র সমাজের প্রার্থী হবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব বাছায় করা হবে।’ এছাড়া ডিসেম্বরে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান জি এম কাদের।
জি এম কাদের বলেন, ‘এরশাদ সাহেব ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করেছিলেন। তবে কোনো পার্টি তার কথা শুনেননি। জাতীয় পার্টিতেও পরে আবার ছাত্র রাজনীতি চালু করা হয়। ছাত্র রাজনীতিতে তখন লাঠিয়াল বাহিনী গড়ে উঠেছিল। সেটা তিনি (এরশাদ) চাননি। ছাত্র সমাজকে আমরা সব ধরণের সহায়তা দেব। কিন্তু তা লেজুড়বৃত্তি ও লাঠিয়াল বাহিনী বানানোর জন্য নয়। ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে তরুণদের ছাত্র রাজনীতি করতে হবে। থাকতে হবে ন্যায়-নীতি ও সত্যের পক্ষে।’
পাটির চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘অনেকে বলেছিলেন এরশাদ সাহেব না থাকলে জাতীয় পার্টি থাকবে না। কিন্তু এরশাদের অবর্তমানেও জাতীয় পার্টি আছে এবং থাকবে। জাতীয় পার্টি টুকরো টুকরো হয়নি। আগামী দিনে জাতীয় পার্টি শুধু শক্তিশালী নয়, প্রচণ্ড শক্তিশালী হবে বলে আমার বিশ্বাস।’
জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সম্মেলন কমিটির আহবায়ক জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন কমটির সদস্য সচিব ফয়সাল দিদার দিপু ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলুসহ অনেক।