সংযুক্তি প্রস্তাব নিয়ে আরব বিশ্বের তোপের মুখে নেতানিয়াহু
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৮:০১
পশ্চিম তীর, জর্ডান উপত্যকা এবং ডেড সী অধিগ্রহণ করে সেখানে ইহুদী বসতি স্থাপনে কাজ করবেন বলে নির্বাচনী ইশতেহারে জানিয়েছেন ইসরায়েলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) এক নির্বাচনী প্রচারণা থেকে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, সেপ্টেম্বরের ১৭ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনে তিনি নির্বাচিত হলে ইসরায়েলের সার্বভৌম ক্ষমতা দিয়ে পশ্চিম তীর, জর্ডান উপত্যকা এবং ডেড সী সংযুক্ত করে ঐ ইহুদী বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন।
জর্ডান এবং সৌদি আরব তার ঐ বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে।ফিলিস্তিনিদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নেতানিয়াহুর এই প্রস্তাব বেআইনি। জাতিসংঘ বলেছে, তার ঐ পরিকল্পনা এ অঞ্চলে শান্তি আলোচনার পরিবেশ নষ্ট করবে।
নেতানিয়াহুর এই সংযুক্তি প্রস্তাব শান্তি প্রক্রিয়ার নূন্যতম সম্ভাবনাকেও বিনষ্ট করবে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি আলোচনা সূত্রধর সায়িব ইরিকাত।
এ প্রসঙ্গে নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের ভাষ্য হলো, তিনি ঐ এলাকাগুলোকে এক করতে চান না, তিনি মূলত চান নির্বাচনকে সামনে রেখে ডানপন্থি জাতীয়তাবাদীদের ভোটগুলোকে এক করতে।
এক প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘের মহাসচিব এন্টনিও গুটিয়ারেজ জানান, এই পরিকল্পনা শান্তি আলোচনার ক্ষেত্রে একটি অন্যতম বড় হুমকি।
আরব লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহুর এই পরিকল্পনা অত্যন্ত বিপদজনক। যা আন্তর্জাতিক আইন পরিপন্থি। শান্তি আলোচনার জন্য এই সংযুক্তি প্রস্তাব টর্পেডোর ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে।
ফিলিস্তিনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হানান আশরাউই বলেছেন, এই প্রস্তাব আন্তর্জাতিক সীমারেখা ও নিরাপত্তার প্রশ্নে হুমকি। তিনি আরও বলেন এই ঘোষণা ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনের শাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল।
জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেছেন, এই পরিকল্পনা সমগ্র অঞ্চলের শান্তি পরিস্থিতিকে নষ্ট করবে।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভ্লুত কাভুসগ্লু এই পরিকল্পনাকে নির্বাচনের আগে বর্ণবাদী, বেআইনি এবং আগ্রাসী মন্তব্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
আরব লীগ ইসরায়েল জর্ডান উপত্যকা জাতিসংঘ ডেড সী তুরস্ক নেতানিয়াহু পশ্চিম তীর ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনা সৌদি আরব