Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ড্রোন আমদানি ও পরিচালনার নীতিমালা প্রায় চূড়ান্ত’


১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৮:৫৯

সংসদ ভবন থেকে: বর্তমানে দেশে কতগুলো ড্রোন রয়েছে তা জানা নেই। সারা বিশ্বে ড্রোন একটি নতুন বিষয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ড্রোন পরিচালনা ও আমদানির বিষয়ে সুষ্পষ্ট নীতিমালা প্রস্তুতে বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও দফতর কাজ করছে। নীতিমালা প্রকাশের পর রাষ্ট্রীয়ভাবে সরকারের কাছে ড্রোন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকবে বলে আশা করা যায়।

বিজ্ঞাপন

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিতে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

মন্ত্রী জানান, সম্প্রতি দেখা যায় যে, কিছু উৎসাহী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বিনা অনুমতিতে বাংলাদেশের আকাশসীমায় আনম্যান্ড এরিয়েল ভেহিক্যাল সিস্টেম (ইউএভি/ইউএএস), রিমোট কন্ট্রোল বিমান অথবা খেলনা বিমান প্রভৃতি উড্ডয়ন করছে। এসব অননুমোদিত উড্ডয়নে নিয়মিত উড্ডয়নকারী বিভিন্ন অনুমোদিত দেশি-বিদেশি বিমান, হেলিকপ্টার এবং দ্রুতগতি সম্পন্ন সামরিক বিমানের সঙ্গে আকস্মিক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

বিমানমন্ত্রী এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে আরও জানান, বাংলাদেশে আনম্যান্ড ভেহিক্যাল সিস্টেম (ইউএভি/ইউএএস) বা রিমোট দ্বারা পরিচালিত বিমান বা ড্রোনের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে ইউএভি/ইউএএস পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার প্রয়োজনীয়তা বেবিচক বা সরকার অনুভব করেছে। সে মোতাবেক ড্রোন নীতিমালা প্রস্তুতের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি কাজ করছে, যা বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ওই নীতিমালায় ড্রোনের আকার, রেজিস্ট্রেশন ও উড্ডয়ন সংক্রান্ত তথ্যসহ অন্যান্য বিষয়ও অন্তর্ভূক্ত থাকবে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের আরেক প্রশ্নের জবাবে বিমানমন্ত্রী জানান, চোরাচালান বন্ধের জন্য বিমানের সব স্থাপনায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে সার্বক্ষণিক মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ বাংলাদেশের সব বিমানবন্দরে বিমানের বিভিন্ন স্থাপনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিমানের কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারীর বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালান বা অন্য কোনো অসদাচরণের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে বিমানের চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। বিভাগীয় তদন্তে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীদের চূড়ান্তভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।

ড্রোন নীতিমালা বেবিচক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর