ওসিদের আচরণ পরিবর্তন না হলে নিজে থানায় বসব: ডিএমপি কমিশনার
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১২:৩৩
ঢাকা: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অধীনস্থ কোনো থানায় যদি জনগণ হয়রানির শিকার হয় তাহলে নিজে গিয়ে থানায় বসবেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপির নতুন কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ডিএমপি অধীনস্থ কোনো থানায় যদি জনগণ তার কাঙ্ক্ষিত সেবা না পায়, হয়রানির শিকার হয় এবং ভালো আচরণ না পায়, তাহলে আমি নিজে থানায় গিয়ে বসব। ওসিগিরি করব। দরকার হলে ডিসি বসবে। প্রয়োজনে অন্যান্য আমার সিনিয়র অফিসাররা থানায় গিয়ে বসবে। তবুও সাধারণ মানুষের কথা শুনব।
তিনি বলেন, থানায় সেবা নিতে যাওয়া সাধারণ নাগরিকদের কাউকে যেন কোনো ধরনের হয়রানি না করা হয়, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা হবে। এটাই আমার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
নতুন দায়িত্ব পাওয়া এই ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরেই ঢাকার সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও উপ-কমিশনারদের (ডিসি) সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলাম। তাদের প্রয়োজনীয় ও কঠোর মনিটরিংয়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে পুলিশভীতি থেকে বের হতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, থানায় যেন অসহায় বা অপরাধের শিকার হয়ে কোনো মানুষ হয়রানি ছাড়া মামলা ও জিডি করতে পারেন, থানা থেকে বের হলে যেন তাদের মধ্যে এই বোধ থাকে যে, পুলিশ তার কাজটি সহযোগিতার মাধ্যমে শেষ হয়েছে।
মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সাধারণ মানুষ যাতে পুলিশের দ্বারা হয়রানি, চাঁদাবাজির শিকার, পুলিশি সেবার বিপরীতে যাতে আর্থিক লেনদেন না হয় সেদিকে নজর রাখব। কারও বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকার ওসিরা বার বার ঢাকায়ই বদলি হন। এটা কারণ কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, মেট্রোপলিটন পুলিশে কাজ করার একটি আলাদা অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। মেট্রোপলিটন ও জেলায় কাজ করার পার্থক্য ব্যাপক। ওসিদের আচরণ যেন হয়রানিমূলক না হয়, সে ব্যাপারে নজরদারি রয়েছে। যদি তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকে, তাহলে ঢাকার এক থানার ওসি আরেক থানায় দিতে সমস্যা নেই।
তিনি বলেন, কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে আমাদের জানাবেন। ব্যবস্থা নেব। কোন অফিসার দিয়ে কোন কাজ হয় আমরা জানি, সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখে তাদের পোস্টিং দেওয়া হয়।
সম্প্রতি ডিএমপি থেকে অনেক এসি, ডিসিকে ঢাকার বাইরে পোস্টিং দেয়া হয়েছে। তাহলে ওসিদের পোস্টিং দিতে সমস্যা কি? সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্নের উত্তরে কমিশনার বলেন, সিনিয়র অফিসার ও ওসিদের কাজের পার্থক্য রয়েছে। থানা লেভেলের কাজের ধরন আলাদা। অলিগলি চেনার দরকার আছে। তবুও আমরা নতুন অফিসার তৈরি করছি। আপনারা দেখেছেন আমরা কিছুদিন পরপর ওসি তদন্ত থেকে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ওসি হিসেবে পোস্টিং দিচ্ছি।