ঢাকা: দেশের অর্থনীতিতে অসম প্রতিযোগিতা কমিয়ে বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন ব্যবসা-বাণিজ্যে টেকসই প্রতিযোগিতা সৃষ্টির মাধ্যমে বাজারে সমতা আনতে ও ভোক্তাদের স্বার্থরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত ’প্রতিযোগিতায় প্রবৃদ্ধি: বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রউফ সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শফিকুল ইসলাম। ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক মো. মঞ্জুর আহমেদ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, কমনওয়েলথ সচিবালয়ের সাবেক প্রধান ড. আব্দুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের পরিচালক মো. খালেদ আবু নাসের, ইআরএফ সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলাল।
সেমিনারে বাণিজ্য সচিব মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্বের সারিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজ করছে। সেজন্য দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে অসম প্রতিযোগিতা কমিয়ে বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জন প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাজারে সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টি করা অপরিহার্য। প্রতিযোগিতা কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে, অর্থনীতিতে টেকসই প্রতিযোগিতা সৃষ্টির মাধ্যমে বাজারে সমতা আনা ও ভোক্তাদের স্বার্থরক্ষা করা।’
বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘সমাজে অসমতা দূর করতে প্রতিযোগিতা কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারে। কমিশন সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।’
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ বলেন, ‘প্রতিযোগিতা আইনটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে জিডিপির আকার ৩ থেকে ৪ শতাংশ বেড়ে যাবে। এতে দেশের অর্থনীতি আরও এগিয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালে বাংলাদেশে প্রতিযোগিতা কমিশন অনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। তবে এখনও কমিশনের লোকবল নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি। ফলে কমিশন ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক কাজ করতে পারছে না।’
আব্দুর রউফ বলেন, ‘প্রতিযোগিতা কমিশন সমাজে বিভিন্ন অসমতা দূর করে ব্যবসা বাণিজ্যে সবার জন্য সমান পরিবেশ সৃষ্টি করতে কাজ করছে।’
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক মঞ্জুর আহমেদ বলেন, ‘পৃথিবীর ১৩১টি দেশে প্রতিযোগিতা কমিশন রয়েছে। এর মধ্যে এশিয়ার রয়েছে ১৭টি দেশে। তবে বাংলাদেশে দেরিতে হলেও এই কমিশন যাত্রা শুরু করেছে। বাংলাদেশের এই কমিশন ব্যবসায়ীদের মাঝে সমান সুযোগ সৃষ্টি করে অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে।’