‘বস্ত্র খাতে সাফল্য অর্জনে সবাইকে সহযোগিতা করা হবে’
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:২৮
ঢাকা: বস্ত্র খাতে সফলতা অর্জন ও এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতা করা হবে এবং নতুন নতুন উদ্যোগ নিতে উৎসাহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০১৯’ সফলভাবে উদযাপনের উদ্দেশ্যে আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বস্ত্র শিল্প বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। বর্তমান সরকারের ‘ভিশন-২০২১’ অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে বস্ত্র খাতের রফতানি ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করছে। এ ধারাবাহিকতায় বস্ত্র খাতের সঠিক বিকাশ ও সুরক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার করণীয় নির্ধারণ করে বিভিন্ন বিষয় সুনির্দিষ্ট করে ‘বস্ত্রনীতি-২০১৭’ ও ‘বস্ত্র আইন-২০১ ‘ প্রণয়ন করেছে। একটি আনুষ্ঠানিক দিবসের উদযাপন এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। একইসঙ্গে বহুমুখী বস্ত্রপণ্যের মেলা আয়োজন করা হলে তা এ শিল্প বিকাশে সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিযোগিতা সক্ষম একটি বস্ত্র ও পাট খাত গড়ে তোলার ভিশন এবং বস্ত্র ও পাট খাতের অপার সম্ভাবনাকে পূর্ণরূপে কাজে লাগিয়ে উৎপাদনশীলতা, কর্মসংস্থান ও রফতানি বাড়ানোর মিশন নিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান ও রপ্তানি বাড়ানোসহ সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে বস্ত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমান সরকারের গৃহীত নীতিমালা ও পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে বস্ত্র খাতের রফতানি বাজার সম্প্রসারণ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, পরিবেশ রক্ষা ও কর্মসংস্থান তৈরির মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ, সুখী ও উন্নত জাতিতে পরিণত করা এবং বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে এ মন্ত্রণালয় সফল হবে।
এর আগে, গত ৯ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রতিবছর ৪ ডিসেম্বরকে জাতীয় বস্ত্র দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। দিবসটি উদযাপনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা পরিপত্রের ‘খ’ ক্রমিকে তা অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এসময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, বিজেএমসি’র চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ নাসিম, বস্ত্র অধিদফতরের মহাপরিচালক দিলীপ কুমার সাহা, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল অ্যাসোসিয়েশনসহ বস্ত্র শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গোলাম দস্তগীর গাজী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বস্ত্র খাত