Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কাশিয়ানী-টুঙ্গিপাড়া রেলপথ: ফের বাড়ছে ব্যয়


১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৮:০৭

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট 

ঢাকা: দ্বিতীয় দফা ব্যয় ও মেয়াদ বাড়ছে ‘কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া সেকশন পুর্নবাসন এবং কাশিয়ানী-গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া নতুন রেলপথ নির্মাণ’ প্রকল্পে। মূল অনুমোদিত প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১ হাজার ১০১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। সেখান থেকে বাড়তে বাড়তে এখন দাঁড়াচ্ছে ২ হাজার ১১০ কোটি ২৭ লাখ টাকায়। এছাড়া ২০১০ সাল থেকে ২০১৩ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা থাকলেও দুই পর্যায়ে মেয়াদ বেড়ে দাঁড়াচ্ছে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত। ফলে তিন বছরের এ প্রকল্পে অতিরিক্ত আরও পাঁচ বছর সময় চলে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর ইতিমধ্যেই অনুমোদনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী সভায় এ সংশোধনী প্রস্তাবিটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে।

রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ১৯৩২ সালে কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া সেকশনটি চালু করা হয় এবং তা ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত চালু ছিল। এই রেললাইন পুনরায় চালু হলে বাংলাদেশ রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং রুটের মাধ্যমে যোগাযোগের জন্য বর্তমান পরিত্যক্ত কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া সেকশনটি চালু এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান ও সমাধিস্থল খ্যাত টুঙ্গীপাড়া উপজেলাকে বিদ্যমান রেলওয়ে নেটওয়ার্ক এর সঙ্গে সংযোগ করা সম্ভব হবে।

এছাড়া ঢাকা-মাওয়া-জাজিরা-ভাঙ্গা পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে এবং পরবর্তীতে দ্বিতীয় পর্যায় ভাঙ্গা হয়ে যশোর সংযোগ লাইনে যুক্ত হবে। এ অবস্থায় কালুখালী ভাটিয়াপাড়া সেকশন পুনর্বাসন এবং কাশিয়ানী থেকে গোপালগঞ্জ হয়ে টুঙ্গীপাড়া পর্যন্ত নতুন রেল লাইন স্থাপন করার জন্য প্রকল্পের মূল উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে মোট ১ হাজার ১০১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে এবং ২০১০ সালের অক্টোবর হতে ২০১৩ সালের জুনে বাস্তবায়ন মেয়াদ ২০১০ সালের ৫ অক্টোবর একনেকে অনুমোদিত হয়। পরবর্তীতে মোট ২ হাজার ২৩ কোটি ৭২ লাখ ৬৩ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১০ সালের অক্টোবর হতে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে বাস্তবায়নের জন্য ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে প্রথম সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন পায়।

বিজ্ঞাপন

পরবর্তীতে জমি অধিগ্রহণের পরিমাণ ৮৯ দশমিক ৯ একর হ্রাস এবং কাশিয়ানি-টুঙ্গিপাড়া সেকশনে মেইন লাইনের পরিমান ৬ দশমিক ৭১ কিলোমিটার কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে দ্বিতীয় সংশোধন করতে হচ্ছে। এ পর্যায়ে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ২ হাজার ১১০ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজ কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কালুখালি-ভাটিয়াপাড়া সেকশন পুর্নবাসন এবং কাশিয়ানী-গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে। ফলে স্থানীয় ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারসহ আধুনিক ও নিরাপদে রেল চলাচল নিশ্চিত হবে।

সারাবাংলা/জেজে/এসআই

রেলপথ

বিজ্ঞাপন

আদানি গ্রুপের নতুন সংকট
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৬

নতুন ইসির শপথ রোববার দুপুরে
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:২৩

আরো

সম্পর্কিত খবর