‘রোহিঙ্গারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ছড়াচ্ছে’
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:২৯
ঢাকা: বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ ছড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় টেলিফোনে সারাবাংলার সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রোহিঙ্গারা যেন ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য ক্যাম্প এলাকায় বিকেল ৫টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত থ্রিজি ও ফোরজি সেবা বন্ধের ঘোষণা দেয় বিটিআরসি। সেইসঙ্গে টেকনাফ ও উখিয়ায় সিম বিক্রিতেও অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এদিকে থ্রিজি-ফোরজি সেবা বন্ধ থাকায় তথ্য আদান প্রদানে বিপাকে পড়েছেন উখিয়া ও টেকনাফের স্থানীয় মানুষ। ভোগান্তিতে পড়েছেন এই এলাকার সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাও।
এসব বিষয়ে জানতেই মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে কথা হয় সারাবাংলার।
মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে উখিয়া ও টেকনাফের মানুষ এমনিতেই ভোগান্তিতে পড়েছে। শুধু থ্রিজি বা ফোরজি বন্ধের কারণেই তারা ভোগান্তিতে পড়েছেন বিষয়টা তো এমন না। তাছাড়া রোহিঙ্গা এই এলাকা থেকেই এসব সিম সংগ্রহ করেছে। তাই উখিয়া ও টেকনাফে সিম বিক্রি বন্ধ করতে হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে উল্লেখ করে মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও রোহিঙ্গাদের ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে উদ্বিগ্ন। রোহিঙ্গাদের ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গারা এমনিতেই গোঁড়া প্রকৃতির। তারা সন্ত্রাসী বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গেও যুক্ত। তাদের মধ্যে উগ্রবাদও রয়েছে। অনেকেই জঙ্গিবাদ ছড়াতে ওই এলাকায় কাজ করছে। ফলে আমরা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারিনা। থ্রিজি ও ফোরজি সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত অনির্দিষ্টকাল কার্যকর থাকবে।’
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা ওই এলাকায় থ্রি-জি ও ফোর জি সেবা বন্ধ করেছি। সব ধরণের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা হয়নি। স্থানীয় মানুষ চাইলেই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছে। আইএসপি সেবাতো চালু আছে। ফলে ওই এলাকার অফিস আদালতে নিঃসন্দেহে ইন্টারনেট ব্যবহৃত হচ্ছে। তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছে।’