পাখা মেলল ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৬:৫৯
ঢাকা: বাংলাদেশ বিমানের ৪র্থ বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) উড়োজাহাজটির উদ্বোধন করা হয়।
গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ড্রিমলাইনার রাজহংস হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্থানীয় সময় ১৩ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’। তার আগে, লাল ফিতা কেটে নতুন ড্রিমলাইনারের যাত্রার উদ্বোধন হয়। বাংলাদেশ বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন শোয়েব চৌধুরী, ক্যাপ্টেন সরওয়ার, ফার্স্ট অফিসার জামিল ও আতিয়াব একটানা ১৫ ঘণ্টা চালিয়ে ড্রিমলাইনারটি নিয়ে আসেন।
গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের বহরে যুক্ত হওয়ার কথা ছিল বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত ও সম্পূর্ণ নতুন বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ ‘রাজহংসের’। কিন্তু রাডার ব্যবস্থাপনায় ত্রুটির কারণে অতিরিক্ত ৪৮ ঘণ্টা সময় চেয়েছিলো বোয়িং কোম্পানি। এটি যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিমান বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা এখন ১৬টি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া চারটি ড্রিমলাইনারের নাম পছন্দ ও বাছাই করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এগুলো হলো আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস। উল্লেখ্য, এর আগে ৪টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, ২টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০-ইআর এর নামও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন। সেগুলো হলো- পালকি, অরুণ আলো, আকাশ প্রদীপ, রাঙা প্রভাত, মেঘদূত এবং ময়ূরপঙ্খী।
টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম এই ড্রিমলাইনার চালাতে অন্যান্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ কম জ্বালানি লাগবে। ‘রাজহংস’-এর আসন সংখ্যা ২৭১টি। বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত রিক্লাইন্ড সুবিধা এবং সর্ম্পূণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা আরামদায়কভাবে স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে ভ্রমণ করতে পারবেন। বিমানটিতে যাত্রীরা অন্যান্য আধুনিক সুবিধা, ইন্টারনেট ও ফোন কল করার সুবিধাও পাবেন।