ট্রিপল নাইনে কল, কলেজছাত্রীর ঘর থেকে শ্রীঘরে বখাটে
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২২:৪৫
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ): ধর্ষণ চেষ্টার অপরাধে হৃদয় মিয়া নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে ভৈরব থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাহালুল খান বাহার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
হৃদয়ের বাড়ি উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের টান কৃষ্ণনগর গ্রামে। তার বাবার নাম কাজল মিয়া। দীর্ঘ দিন থেকে হৃদয় ভৈরবের একটি কলেজের দ্বিতীয়বর্ষের ছাত্রীকে উত্যক্ত করে আসছিলেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, তারা দুই ভাই ও চার বোন। তার বড় তিন বোনেরই বিয়ে হয়ে গেছে। এক ভাই ঢাকায় চাকরি করেন। অন্য এক ভাই আর তিনি থাকেন বাড়িতে। বাবা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, মারা গেছেন পাঁচ বছর আগে। মা মারা যান তার জন্মের ছয় মাসের মাথায়। দীর্ঘ দিন থেকে হৃদয় তাকে উত্যক্ত করে আসছিলেন। কলেজে যাওয়া-আসার পথে দেখা হলেই অশ্লীল কথা বলতেন। বিষয়টি জনপ্রতিনিধিদের জানিয়ে প্রতিকার হয়নি। যে কারণে দেড় বছর আগে তিনি একাই থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। সেই সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর কিছুদিন শান্ত ছিলেন হৃদয়।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাড়িতে একাই ছিলেন তিনি। হঠাৎ শব্দে ঘুম ভেঙে গেলে দেখতে পান হৃদয় তার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করছে। তিনি চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা জড়ো হন। তারা বিষয়টি বুঝতে পেরে ঢাকায় তার ভাইকে কল করেন। সঙ্গে সঙ্গে তার ভাই ট্রিপল নাইনে (৯৯৯) কল করে পুলিশের সহযোগিতা চান— জানান ভুক্তভোগী তরুণী।
ভৈরব থানার উপপরিদশর্ক (এসআই) মো. মোকলেছুর রহমান রাসেল জানান, ওই তরুণীর ভাই ট্রিপল নাইনে (৯৯৯) কল করায় আমরা জানতে পারি টান কৃষ্ণনগর গ্রামে এ রকম একটা ঘটনা ঘটছে। আমরা গিয়ে হৃদয় গ্রেফতার করি। ধর্ষণ চেষ্টা করা হয়েছে সেই প্রমাণ আমরা পেয়েছি।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাহালুল খান বাহার বলেন, আমাদের ফোর্স যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তখনো ওই যুবক ঘরের ভেতরেই ছিল। দ্রুততম সময়ে পুলিশ পৌঁছে যাওয়া ওই তরুণীকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তার ভাই বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আজ (মঙ্গলবার) আদালতে তোলা হয়েছিল। বিচারক তাকে কারাগারে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।