পার্লামেন্ট স্থগিত বিষয়ে যুক্তরাজ্যের সুপ্রিমকোর্টে শুনানি
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২২:৪৮
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পার্লামেন্ট স্থগিত বৈধ কি না সে বিষয়ে চূড়ান্ত রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও তিন দিন। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়েছে লন্ডনের সুপ্রিমকোর্টে। শুক্রবার হতে পারে রায়। এর আগে, লন্ডনের হাইকোর্ট পার্লামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্ত বৈধ বলে রায় দিলেও স্কটল্যান্ডের সর্বোচ্চ আদালত গত সপ্তাহে তা বেআইনি বলে জানায়। খবর বিবিসির।
তিন দিন আলোচনার পর দুটি আপিল নিষ্পত্তির মাধ্যমে প্রধান ১১ বিচারক এ বিষয়ে রায় দিবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রথম মামলায়, সরকার আবেদন করেছে স্কটিশ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে। আর দ্বিতীয় মামলায়, লন্ডন হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করেছেন ব্যবসায়ী ও প্রচারকর্মী গিনা মিলার।
প্রসঙ্গত, গত ১০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট পরবর্তী পাঁচ সপ্তাহের জন্য মুলতবি ঘোষণা করা হয়। সরকারের পক্ষে যুক্তি ছিল, আগামী ১৪ অক্টোবর রানি এলিজাবেথ নতুন সরকারের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে পার্লামেন্টে ভাষণ দেবেন। সেই কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতেই পার্লামেন্টের সর্বশেষ অধিবেশন মুলতবি করা হয়। ব্রেক্সিটের সঙ্গে পার্লামেন্ট স্থগিতের সম্পর্ক নেই।
তবে বিরোধীরা বলছেন, বরিস রানিকে ভুল বার্তা দিয়ে পার্লামেন্ট স্থগিত করেছেন। এমপিরা চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের ঝুঁকি এড়াতে চাইলেও বরিস এই নিয়ে উদাসীনতা দেখাচ্ছেন।
আগামী ৩১ অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যকর হচ্ছে। ইইউর সঙ্গে সমঝোতা না হওয়ায় চুক্তিহীন ব্রেক্সিট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে ইতোমধ্যে ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়াতে এমপির ভোট দিয়েছেন। যদিও বরিস তাতে আগ্রহ দেখাননি।
মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্টের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি লেডি হ্যালি জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তিনি ও তার সহকর্মীরা মামলার জটিল বিষয়গুলো সমাধানের চেষ্টা করবেন। তবে মামলার রায় ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কচ্ছেদে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুপ্রিমকোর্ট যদি পার্লামেন্ট স্থগিতকে অবৈধ ঘোষণা করে তাহলে আবার অধিবেশন শুরু হবে। তবে বরিস চাইলে ব্রেক্সিটের আগে আবারও রানির কাছে অধিবেশন স্থগিতের আবেদন জানাতে পারবেন।
ব্রেক্সিট নিয়ে বর্তমান যুক্তরাজ্যে আইন ও রাজনৈতিক সংকটকে বিগত দু’শ বছরের মধ্যে সবচেয়ে জটিল পরিস্থিতি বলেই ভাবা হচ্ছে।