২৪ বস্তা গায়েব, চাল পাননি হতদরিদ্ররা
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৩:৩৯
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ): কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ করা চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় তিন ডিলারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে ২৪ বস্তা চাল আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শরীফ মোল্লা সারাবাংলাকে এই তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে গতকাল (মঙ্গলবার) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় তিন ডিলারকে নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন ইউএনও লুবনা ফারজানা। শ্রীনগর ইউনিয়নের ডিলার হেলাল উদ্দিন হেলু, সাদেকপুর ইউনিয়নের হামিদুল এবং শিমুলকান্দি ইউনিয়নের ডিলার বাছির আহমেদকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, জবাব সন্তোষজনক না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র জানায়, ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ভৈরবের ৭টি ইউনিয়নে ডিলারের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ শুরু হওয়ার কথা ছিল। ডিলারদের জন্য নির্দেশনা ছিল ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তারা কার্ডধারী প্রতি পরিবারের জন্য মাসে ৩০ কেজি করে চাল উত্তোলন করবেন। হেলাল উদ্দিন ৩১৮ জন কার্ডধারীর জন্য বরাদ্দ পাওয়া ১৯০ বস্তা চাল উত্তোলন করেন। গতকাল (সোমবার) বিতরণের আগে দেখা যায় ২৪ বস্তা চাল কম। এ সময় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা শরীফ মোল্লা, শ্রীনগর ইউপি চেয়ারম্যান সার্জেন্ট (অব.) তাহের এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল বাসার উপস্থিত ছিলেন। চাল কম থাকায় বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।
অন্যদিকে হামিদুলের জন্য ২৭৫ জন কার্ডধারীর বিপরীতে ৮ হাজার ২৫০ কেজি এবং বাছিরের জন্য ৪৭৭ জন কার্ডধারীর বিপরীতে ১৪ হাজার ৩১০ কেজি চাল বরাদ্দ আসে। অভিযোগ রয়েছে, তারা কেউ সময় মতো চাল উত্তোলন করেননি— জানায় সূত্র।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শরীফ মোল্লা বলেন, হেলাল উদ্দিনকে ২৪ বস্তা চাল উদ্ধার করতে বলা হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যানদের ঘটনাটি জানানো হয়েছে। চাল উদ্ধার হওয়ার পরে বিতরণ শুরু হবে। ইতোমধ্যে তিন ডিলারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে। তাদের জবাব সন্তোষজনক না হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।