জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:৪৩
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ছাত্রী ফাতেমা তুজ জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত ১১ সেপ্টেম্বর তাকে বহিষ্কার করা হয়।
ফেসবুকে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কী?’ এমন পোস্ট দেয়ার কারণে তাকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বহিষ্কারের খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে। সমালোচনার মাথায় জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন- ‘বেয়াদব’ শিক্ষার্থীর ‘ভাষা পরিবর্তনে’ শাসন বশেমুরবিপ্রবি ভিসির!
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার প্রফেসর ড. মোঃ. নূরউদ্দিন সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ”বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমা তুজ জিনিয়াকে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপত্তিকর লেখালেখি এবং প্রশাসনকে বিব্রতকর করার চেষ্টার জন্য সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। সেই প্রেক্ষিতে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্ষমা চেয়ে আবেদন এবং বিভাগীয় অ্যাকাডেমিক কমিটি তথা বিভাগের সকল শিক্ষক উক্ত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এবং ঘটনার জন্য জিনিয়ার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত আবেদন দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ বিবেচনায় এনে এবং বিভাগের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের আবেদন আমলে নিয়ে জিনিয়ার বিরুদ্ধে যে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হলো”
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে সারাবাংলাকে ফাতেমা তুজ জিনিয়া বলেন, “আমার বন্ধুরা একটি একটি বিজ্ঞপ্তি আমাকে দেখিয়েছে। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার অবশ্যই ভালো ব্যাপার তবে আমি এভাবে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চাইনি।”
তিনি কোনো ক্ষমা চাননি দাবী করে বলেন, “ওখানে বলা হয়েছে আমি ক্ষমা চেয়েছি, কিন্তু আমি কোনো অপরাধ করিনি তাই ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্ন আসেনা।”
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “কেউ যোগাযোগ করেনি আর আমার হয়ে আমি কাউকে ক্ষমা চাইতেও বলিনি।”