জামিন জালিয়াতির ঘটনায় দুইজনকে পুলিশে দিলেন হাইকোর্ট
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২১:৫৮
ঢাকা: জামিন জালিয়াতি করায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামি ও ওই আসামির তদবিরকারককে পুলিশে তুলে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জামিন জালিয়াতির ঘটনা তদন্ত করতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া দুই ব্যক্তি হলেন- ঝালকাঠির কাঠালিয়া থানার মরিচবুনিয়া এলাকার মোকলেছুর রহমানের ছেলে মো. মজিবর রহমান ও তার তদবিরকারক সোহাগ।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিরেন হেনা নাজমুন নাহার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ ও শাহীন আহমেদ খান।
আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, ঝালকাঠির মরিচবুনিয়া এলাকায় এক বাড়ি থেকে ২০০১ সালে এক গৃহবধূকে অপহরণের ঘটনায় করা মামলায় ২০০৪ সালের ২৫ এপ্রিল ঝালকাঠির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ মজিবরসহ দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। এ সময় মজিবর পলাতক ছিলেন। তাকে ২০০৭ সালের ২৩ জানুয়ারি পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপর ওই সাজা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন মজিবর। হাইকোর্ট তার আবেদন খারিজ করে রায় দেন। কিন্তু হাইকোর্টের এ রায়ের তথ্য গোপন করে আবারো সাজা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন মজিবর।
ওই আবেদনেরে পর বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১ আগস্ট তাকে জামিন দেন। এ আদেশের পর কারাগার থেকে মুক্তি পান মজিবর।
এদিকে ঝালকাঠি আদালত থেকে জামিনের আদেশটি আরো যাচাই করতে গিয়ে দেখা যায়, জামিন আদেশে বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতির নাম ঠিক থাকলেও কনিষ্ঠ বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের নামের জায়গায় বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের নাম উল্লেখ রয়েছে। বিষয়টি আদালতের গোচরে আসার পর বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সংশ্লিষ্ট আইনজীবী হেনা নাজমুন নাহারকে আসামি মজিবর ও মামলার তদবিরকারক সোহাগকে হাজির করতে নির্দেশ দেন। আদেশের পর আজ তদবিরকারক তাকে নিয়ে আদালতে উপস্থিত হন। তখন আদালত তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে নির্দেশ দেন।
এদিকে পুলিশ এ দুজনকে শাহবাগ থানায় পাঠিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম।