নূর চৌধুরীর তথ্য প্রকাশে বাংলাদেশের পক্ষে রায় কানাডার আদালতে
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১০:০৩
কানাডায় বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীর অবস্থানসংক্রান্ত তথ্যের বিধিনিষেধ তুলে নিতে বাংলাদেশের আবেদন মঞ্জুর করেছেন দেশটির আদালত।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ফেডারেল কোর্টের বিচারক ও’রেইলি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য প্রশাসনকে এই নির্দেশ দেন। খবর ৬৬০সিটিনিউজের।
আদালত রায়ে জানান, নূর চৌধুরীর অবস্থান জানতে চেয়ে বাংলাদেশ যে আবেদন করেছে তা বৈধ। এ ধরনের তথ্য প্রকাশ জনস্বার্থের জন্য ক্ষতির কারণ হবে না।
ঘাতক নূর চৌধুরী কানাডায় কিভাবে আছেন এবং ‘প্রি-রিমুভাল রিস্ক অ্যাসেসমেন্টের’ (পিআরআরএ) আবেদন কী পর্যায়ে আছে সে বিষয়ে বাংলাদেশকে কানাডা কোনো তথ্য দিচ্ছে না অভিযোগ করে গত বছর জুন মাসে ‘জুডিশিয়াল রিভিউয়ের’ (বিচারবিভাগীয় পর্যালোচনা) আবেদনটি করা হয়।
দেশটির উচ্চ আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করে বলছেন, কানাডা কর্তৃপক্ষ ও নূর চৌধুরীর বিষয়ে বাংলাদেশকে তথ্য না দেওয়ায় যেসব যুক্তি তুলে ধরেছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়। আর তাই বাংলাদেশের আবেদন আবার বিবেচনা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতের রায়ে আরও বলা হয়, নূর চৌধুরী ও তার স্ত্রী ১৯৯৬ সালে কানাডায় ‘ভিজিটর’ স্ট্যাটাস পান। এর কিছুদিন পরই তারা ‘রিফিউজি প্রটেকশনের’ (শরণার্থী হিসেবে সুরক্ষা) আবেদন করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার দায়ে বাংলাদেশে ফেরারি হিসেবে নূর চৌধুরীর বিচার হয় এবং সেখানে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
এছাড়া, গুরুতর ‘অরাজনৈতিক’ অপরাধের কারণে নূর চৌধুরী ও তার স্ত্রী ২০০২ সালে ‘রিফিউজি প্রটেকশন’ সুরক্ষা থেকে বাদ পড়েন। তবে নূর চৌধুরীকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়নি। বাংলাদেশে ফিরলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতে পারে—এমন যুক্তি দেখিয়ে নূর চৌধুরী ‘প্রি-রিমুভাল রিস্ক অ্যাসেসমেন্টের’ জন্য অনুরোধ করেছেন বলেও রায়ে উল্লেখ করেন আদালত।