যুবলীগ নেতা খালেদকে আদালতে হাজির
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:২৪
ঢাকা: রাজধানীর ফকিরাপুলে অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর অপরাধে গ্রেফতার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ৮টার দিকে খালেদকে সিএমএম আদালত চত্বরে উপস্থিত করা হয়। কিছুক্ষণ পরই তাকে আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অস্ত্র ও মাদকের দুই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার খালেদের নামে মোট চারটি মামলা দায়ের করে র্যাব। এর মধ্যে অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা তিনটি দায়ের করা হয় গুলশান থানায়, মাদক আইনে অন্য একটি মামলা দায়ের করা হয় মতিঝিল থানায়। এর মধ্যে অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায় পুলিশ তার সাত দিন করে রিমান্ড চাইবে বলে জানা গেছে গুলশান থানা সূত্রে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকেই খালেদের গুলশানের বাসা ঘিরে রাখে র্যাব। পরে সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হয়। তার বাসা থেকে একটি অবৈধ অস্ত্র, লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করা আরও দুইটি অস্ত্র, কয়েক রাউন্ড গুলি ও দুই প্যাকেটে চারশ পিস ইয়াবা জব্দ করে র্যাব। এছাড়া তার বাসার ওয়াল শোকেস থেকে ১০০০, ৫০০ ও ৫০ টাকার নোটের ১০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা র্যাব জব্দ করে। চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা সমমূল্যের মার্কিন ডলারও জব্দ করা হয় এসময়।
র্যাব-১-এর সিনিয়র এএসপি সুজয় সরকার জানান, বুধবার বিকেল ৪টা থেকেই গুলশান ২-এর ৫৯ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাড়িটি ঘিরে রাখে র্যাব। এই বাড়ির তৃতীয় তলার এ-৩ ফ্ল্যাটটি খালেদের। আটকের পর রাত ৮ টা ২৫ মিনিটে খালেদকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান র্যাব সদস্যরা।
এদিন বিকেলে খালেদের ইয়ং মেনস ক্যাসিনোতেও অভিযান চালান র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে ১৪২ জন নারী-পুরুষকে আটক করা হয়। এর মধ্যে ৩১ জনকে একবছর ও বাকি ১১১ জনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ক্যাসিনো থেকে জুয়ার প্রায় সাড়ে ২৪ লাখ টাকা জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া বিপুল পরিমাণ মদ, বিয়ার, সিগারেটসহ নেশাজাতীয় বিভিন্ন দ্রব্য জব্দ করা হয় ওই ক্যাসিনো থেকে।