Wednesday 16 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রোহিঙ্গাদের হাতে এনআইডি, আরেক ইসি কর্মী গ্রেফতার


২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৩:১৩ | আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৩:১৪
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রাম ব্যুরো: মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কেলেঙ্কারির ঘটনায় মোস্তফা ফারুক নামে নির্বাচন কমিশনের আরও এক অস্থায়ী কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত মামলার তদন্তকারী সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট তাকে গ্রেফতার করেছে।

তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) কার্যালয়ে ডেকে নিয়েছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া। শুক্রবার তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

মোস্তফা ফারুকের নগরীর হামজারবাগের বাসায় অভিযান চালিয়ে নির্বাচন কমিশনের লাইসেন্স করা ল্যাপটপ, মডেম ও পেনড্রাইভ, সিগনেচার প্যাড ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতার মোস্তফা ফারুক (৩৬) ফেনী সদর উপজেলার দমদমা গ্রামের মো. ইলিয়াছের ছেলে।

সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের এনআইডি জালিয়াতির মামলায় আমরা জয়নাল আবেদিন নামে একজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোস্তফা ফারুককে আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনেছিলাম। তথ্যপ্রমাণ পাবার পর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।’

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, মোস্তফা ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।

মোস্তফা ফারুক চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম-২০১৯’ এ যুক্ত আছেন। ভুয়া তথ্য দেওয়া ব্যক্তিকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির অভিযোগে ২০১৬ সালে আউটসোর্সিংয়ের ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া মোস্তফা ফারুককে বাদ দেওয়া হয়। কিন্তু তিন বছরের মাথায় আবারও একই দায়িত্ব দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

খোয়া যাওয়া নির্বাচন কমিশনের লাইসেন্স করা ল্যাপটপ ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি এবং এনআইডি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে জয়নালসহ তিনজনকে আটক করা হয়। চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা তাদের আটক করে কোতোয়ালী থানা পুলিশের হাতে দেন। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় খোয়া যাওয়া একটি ল্যাপটও। এরপর রাতেই কোতোয়ালী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা বাদি হয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন ও ডিজিটাল আইনে মামলাটি দায়ের করেন।

ওই মামলায় জয়নালকে তিনদিন এবং বাকি দুজনকে একদিন করে হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের অনুমতি পায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

টপ নিউজ রোহিঙ্গা এনআইডি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর