সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে শামীমকে গ্রেফতার: র্যাব
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৭:২৭
ঢাকা: সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে যুবলীগ নেতা জি কে শামীমকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মুখপাত্র লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গুলশানের নিকেতনে শামীমের বাসা ও অফিসে অভিযান চালানো পর র্যাব মুখপাত্র এ তথ্য জানান।
সারোয়ার বিন কাশেম তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি যে, তার কাছে অবৈধ অর্থ ও অস্ত্র রয়েছে। এছাড়া তিনি চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজিতে জড়িত ছিলেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তার বাসা ঘেরাও করি। এ সময় শামীমকে তার সাত বডিগার্ডসহ গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি বডিগার্ডদের সাতটি শটগান ও বিপুল পরিমাণে গুলি জব্দ করা হয়। পরে শামীমকে নিয়ে তার অফিসে অভিযান পরিচালনা করা হয়।’
আরও পড়ুন: এবার আটক যুবলীগ নেতা জি কে শামীম
তিনি আরও বলেন, ‘শামীমের অফিস থেকে বিপুল পরিমাণে টাকা উদ্ধার করা হয়। যার পরিমাণ ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার মতো। এছাড়া ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ১৪০ কোটি টাকার এফডিআর তার মায়ের নামে আর বাকিগুলো তার নামে। কিছু মাদক পেয়েছি এবং একটি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গেছে। শামীমসহ আটজনকে আমরা গ্রেফতার করেছি।এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অবশ্যই স্বীকার করি তার ঠিকাদারি ব্যবসা আছে। কিন্তু তার নামে টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির অভিযোগও রয়েছে। এই বিপুল পরিমাণে অর্থ আমরা মানিলন্ডারিং আইনে ফেলব। তদন্ত করে দেখবে তার কাছে এতো টাকা কীভাবে এলো।’
আরও পড়ুন: জি কে শামীমের অফিস ও বাড়িতে র্যাবের অভিযানের ছবি
এদিকে র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মায়ের কোনো ব্যবসা নেই। কিন্তু তার নামে ১৪০ কোটি টাকার এফডিআর ছিল। অভিযোগ রয়েছে, যে সাতটি অস্ত্র পাওয়া গেছে এগুলো চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির কাজে ব্যবহার করা হতো। এছাড়া জব্দকৃত টাকা ঠিকাদারি ব্যবসার আড়ালে অবৈধভাবে আয় করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।’
সারওয়ার আলম আরও বলেন, ‘উনি যদি এসব অভিযোগকে আদালতে মিথ্যা প্রমাণ করতে পারেন তাহলে ছাড়া পাবেন। আর যদি উনার ওপর আনিত অভিযোগগুলো যদি সত্য হয় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়গুলো আমরা তদন্ত করে দেখছি। এ নিয়ে পরে আরও বিস্তারিত জানানো হবে।’