ভয়াবহ ৪ ধাক্কায়ও কিছু হবে না পদ্মা সেতুর!
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১০:৩০
ঢাকা: স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নির্মাণ প্রকল্প পদ্মা সেতু। নির্মাণাধীন এ সেতুকে বলা হয় ‘স্বপ্নের সেতু’। নির্মাণ শেষের দিকে থাকা এই সেতু এতটাই মজবুত যে রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ভূমিকম্পেও এর কিছু হবে না।
ভূমিকম্পসহ একসঙ্গে ভয়াবহ চারটি বড় ধাক্কা সামলে নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই সেতুর। এ রকম ধাক্কা মোকাবিলার মত মজবুত করেই সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এবং এই নির্মাণ কাজও শেষের দিকে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম পদ্মা সেতুর বড় চারটি ধাক্কা মোকাবিলার ক্ষমতা ব্যাখা করেছেন। তিনি বলেন, ‘যদি কখনও রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। আর ঠিক তখনই যদি পিলারের নিচে থেকে ৬২ মিটার মাটি সরে যায়। একই সময় যদি পুরো সেতু ট্রেন ও যানবাহনে লোড থাকে; ওই সময় ৫ হাজার মেট্রিক টন ওজনের আরও একটি জাহাজ এসে যদি সেতুর পিলারে ধাক্কাও দেয় তারপরও পদ্মা সেতুর কিছুই হবে না।’
গত ১২ সেপ্টেম্বর সেতু ভবনে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য প্রকাশ করেন। এ সময় পদ্মা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের পদ্ধতি ও প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের জন্য কারিগরি প্রস্তাবনা দিতে কোরিয়ান একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।
পদ্মা সেতু চালু হবে ২০২১ সালের জুনে। চলতি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পদ্মা সেতুর কাজের অগ্রগতি ৮৩ দশমিক ৫০ ভাগ। সেতুর ৪২টি পিলারের মধ্যে ৩১টির নির্মাণ শেষ হয়েছে। বাকিগুলোর পাইলিং শেষে এখন উপরের অংশের কাজ চলছে। ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ১৪টি বসানো হয়েছে। এছাড়া পদ্মানদীর দুই পাশে সংযোগ সড়ক ও টোলপ্লাজা সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এখন শরীয়তপুরের জাজিরা অংশ থেকে স্প্যানের ভেতরে রেললাইন এবং উপরে চারলেনের সড়ক বসানো শুরু হয়েছে। সড়ক নির্মাণের জন্য স্ল্যাব বসিয়ে জায়ান্ট দেওয়া হচ্ছে। ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে ডেকস্ল্যাব বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার লম্বা পদ্মাসেতু হবে। এখন জাজিরায় সর্বশেষ পিলার ৪২ নম্বর থেকে ৪১ নম্বর পিলার পর্যন্ত প্রায় অর্ধেক অংশে ৩৯টি রোডওয়ে স্লাব বসানো হয়েছে। আরও ১ হাজার ৩৭০ টি স্ল্যাব তৈরির কাজ শেষ হয়েছে।
এ ছাড়া রেলওয়ে স্ল্যাব বসবে ২ হাজার ৯৫৯টি। এর মধ্যে ২ হাজার ৮১৯টি স্ল্যাব তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। আর জাজিরা অংশের ৪২ থেকে ৩৭ নম্বর পিলার পর্যন্ত ৩২২টি স্ল্যাব বসানো হয়েছে।